‘বিগ বস ১৯’-এর দর্শকরা দুই প্রতিযোগী, তানিয়া মিত্তল এবং নীলাম গিরি-র ওপর মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অভিযোগ, তাঁরা অন্য প্রতিযোগী আশনূর কৌর-এর ওজন নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। তানিয়া ও নীলাম প্রকাশ্যে আশনূরকে “মোটি” (মোটা) বলে ডেকেছেন এবং তাঁর চেহারা নিয়ে কটু কথা বলেছেন। লাইভ ফিডে এই অপমানজনক শব্দগুলো ধরা পড়ার পর থেকেই বহু দর্শক বিষয়টিকে বডি-শেমিংয়ের স্পষ্ট উদাহরণ বলে মনে করছেন। ভক্তরা বলছেন, আশনূর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী এবং পরিপক্ক। তাঁরা শোয়ের নির্মাতাদের কাছে তানিয়া ও নীলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
তানিয়া মিত্তল ও নীলাম গিরির বিতর্কিত মন্তব্য
সম্প্রতি ‘বিগ বস ১৯’-এর একটি পর্বে তানিয়া মিত্তল এবং নীলাম গিরি সহ-প্রতিযোগী আশনূর কৌরকে বডি-শেমিং করার জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। লাইভ ফিডে শোনা যায়, তাঁরা আশনূরের ওজন বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করছেন। তানিয়া বলেন, “জিমে গিয়েও ওর ওজন বেড়েছে,” আর নীলাম অবাক হয়ে বলেন যে আশনূরের প্রতিদিনের ওয়ার্কআউট যেন কোনো কাজেই আসছে না। তানিয়া আশনূরের মুখ নিয়েও অপমান করে বলেন, তিনি “ফুগ্গে জ্যায়সা মুহ লেকর ঘুম রহি হ্যায়” (ফুলে যাওয়া মুখের মতো মুখ নিয়ে ঘুরছেন)। নীলাম আরও যোগ করেন, “দাদি লগ রহি হ্যায়” (তাকে দিদিমার মতো দেখাচ্ছে), এমনকি আরেক প্রতিযোগী আশনূরকে ডিম বলেও কটাক্ষ করেন।
‘উইকেন্ড কা বার’-এর সময়ও এই আলোচনা চলতে থাকে। তানিয়া এবং নীলাম আশনূরের পোশাকের সমালোচনা করে দাবি করেন, ওই পোশাক আশনূরের শরীরের সঙ্গে মানানসই নয়। তানিয়া বলেন, তিনি বা নীলাম যদি সেই পোশাক পরতেন, তাহলে তা আরও ভালো লাগতো। অপর প্রতিযোগী শেহবাজও মন্তব্য করেন, “ইতনি এক্সারসাইজ লগاتی হ্যায়, মোটি হি রহতি হ্যায়” (এত এক্সারসাইজ করেও মোটা রয়ে যায়)।
ফ্যানদের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও নির্মাতাদের প্রতি ক্ষোভ
‘বিগ বস ১৯’-এর ভক্তরা সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। একজন ভক্ত লেখেন, “ইসে কহতে হ্যায় জব মুকাবালা না কর পাও তো বুরাই করনা স্টার্ট কর দো” (একে বলে যখন প্রতিযোগিতা করতে পারো না, তখন নিন্দা করা শুরু করে দাও)। অনেকেই আশনূরের আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করেন এবং বলেন, “ও নিজের শরীর নিয়ে কিছুটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলেও, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। আর এই লোকগুলো কোনো কারণ ছাড়াই ওকে লজ্জিত করছে।”
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা তানিয়া এবং নীলামের সমালোচনা করে তাঁদের “তথাকথিত নারীবাদী” এবং “ইনফ্লুয়েন্সার” বলে অভিহিত করেন, যারা আশনূরকে সমর্থন করেননি। একজন ভক্ত শোয়ের সঞ্চালক সলমান খান-কে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “৩ দিন ধরে আমি তাঁর শরীর নিয়ে কথা বলতে শুনছি।”
দর্শকরা শোয়ের নির্মাতাদের প্রতিও হতাশা প্রকাশ করেছেন। কারণ, পর্বগুলোতে এই ক্লিপগুলো দেখানো হয়নি। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, “বডি শেমিং কনটেন্ট নয়। এটি একটি গুরুতর সমস্যা। নির্মাতাদের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নির্মাতারা লজ্জিত হোন।”
এই বিতর্ক ‘বিগ বস ১৯’-এর নাটকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে তানিয়া এবং নীলামের বন্ধুত্বও সম্প্রতি অপর প্রতিযোগী ফারহানা ভাটের কারণে উত্তেজনার মধ্যে ছিল। ভক্তরা স্পষ্টতই শোতে সম্মান এবং ন্যায্য আচরণ আশা করেন, বিশেষ করে আশনূর কৌরের প্রতি, যাঁকে তাঁরা সমালোচনা সত্ত্বেও পরিণত এবং মার্জিত বলে মনে করেন।