মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণ ঘিরে আর কোনো আইনি বাধা রইল না। এই সংক্রান্ত মামলায় হস্তক্ষেপ করতে রাজি হলো না কলকাতা হাইকোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মসজিদ তৈরির সিদ্ধান্তে আদালত কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
নিরাপত্তার দায়িত্বে রাজ্য সরকার:
আদালত এই কর্মসূচির নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকারের উপরেই। তবে মুর্শিদাবাদে যে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে, প্রয়োজনে তাদেরও এই কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
মামলার শুনানিতে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এর আগে রামমন্দির নিয়ে সম্প্রীতি নষ্টের প্রশ্ন ওঠে। সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। রাজ্য মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক।” জবাবে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রের আনা নয়া ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মুর্শিদাবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় এবং সেই থেকে এখনো ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে। এই বাহিনীকেও প্রয়োজনে ব্যবহার করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।
হুমায়ুনের বক্তব্য:
শুক্রবার সকালেই আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর হুমায়ুন কবীরকে মসজিদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় যেতে দেখা যায়। এলাকা ঘুরে দেখার পর তিনি বলেন, “আমি কোনও অসাংবিধানিক কাজ করছি না। হাইকোর্ট যখন বলেছে আমি কোনও বেআইনি কাজ করছি না, তাই স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য প্রশাসন আমাকে সাহায্য করবে। আমার দু হাজার ভলান্টিয়ার থাকবে। আমি প্রশাসনকে সাহায্য করব।”