বাংলার রূপান্তরের ঐতিহাসিক দলিল! ৬টি ভাষায় রাজ্যের সাফল্যের খতিয়ান আনলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ

গত দেড় দশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ ঠিক কতটা উন্নতি করেছে? সেই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে এবার পূর্ণাঙ্গ তথ্যসহ ‘রিপোর্ট কার্ড’ প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। শুক্রবার নবান্ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল বিশেষ পুস্তক— ‘উন্নয়নের পাঁচালি’। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই বইটির উদ্বোধন করেন।

কী আছে এই ‘উন্নয়নের পাঁচালি’-তে? বইটিতে ২০১১ সালের মে মাস থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত, অর্থাৎ দীর্ঘ ১৪ বছর ৬ মাসের সরকার পরিচালনার পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। মূলত যে বিষয়গুলি গুরুত্ব পেয়েছে:

সামাজিক সুরক্ষা: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রীর মতো নারী ক্ষমতায়ন প্রকল্পের সাফল্য।

স্বাস্থ্য ও শিক্ষা: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের পরিসংখ্যান।

পরিকাঠামো ও কৃষি: গ্রামীণ রাস্তাঘাট নির্মাণ, কৃষকদের জন্য ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের ব্যয় এবং উপভোক্তাদের তথ্য।

শিল্প ও পর্যটন: গত কয়েক বছরে রাজ্যে শিল্পায়ন এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশের ব্লু-প্রিন্ট।

৬টি ভাষায় প্রকাশ ও ডিজিটাল সুবিধা: রাজ্যের সব প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছাতে এই রিপোর্ট কার্ডটি বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, উর্দু, নেপালি এবং সাঁওতালি— মোট ৬টি ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সরকারি ওয়েবসাইটে এর ই-ভার্সন (Soft Copy) আপলোড করা হয়েছে, যা যে কেউ ডাউনলোড করতে পারবেন।

কেন এই উদ্যোগ? মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান, গত ২ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই কাজের খতিয়ান রিলিজ করেছিলেন। তাঁরই নির্দেশে এই তথ্যগুলিকে প্রামাণ্য দলিলের রূপ দেওয়া হয়েছে। মূলত স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং বিরোধীদের যাবতীয় প্রশ্নের পরিসংখ্যান দিয়ে জবাব দিতেই নবান্নের এই পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে এই বই পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy