গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ট্রলার ‘এফবি পারমিতা ১১’। গত সোমবার বাংলাদেশের উপকূল রক্ষী বাহিনীর (Coast Guard) একটি জাহাজের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এই ঘটনার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবী মহলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রাণভয়ে কয়েক’শ ট্রলার মাছ না ধরেই সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরে আসতে শুরু করেছে।
নিখোঁজ ৩ মৎস্যজীবী ও আইনি জটিলতা: এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জন মৎস্যজীবীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁদের উদ্ধারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতীয় জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হওয়া ৩৫ জন মৎস্যজীবীকে এদিন কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
মৎস্যজীবী মহলে ক্ষোভ ও আন্দোলনের ডাক
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফুঁসছে সুন্দরবনের মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি। তাদের দাবি:
নিরাপত্তার অভাব: মাঝসমুদ্রে বারবার বিদেশি জাহাজের দাপট ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের।
প্রতিবাদ কর্মসূচি: নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দাবিতে উপকূলীয় এলাকাগুলিতে বড়সড় মিছিল ও পথসভা করার ডাক দিয়েছে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি।
নয়া সতর্কতা: পরিস্থিতি বিচার করে সংগঠনগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে আন্তর্জাতিক জলসীমা (IMBL) থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার ভিতরে থেকে মাছ ধরার পরামর্শ দেওয়া হবে মৎস্যজীবীদের, যাতে কোনোভাবেই বির্তকিত এলাকায় পড়তে না হয়।
উপকূলে ফেরার হিড়িক: ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ ও নামখানার মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, পারমিতা ১১-এর পরিণতির কথা শুনে কেউ আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। মরসুমের মাঝপথে এভাবে মাছ না ধরে ফিরে আসায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন ট্রলার মালিক ও মৎস্যজীবীরা।