দুর্গাপূজার সময় একাধিক বাংলা ছবি মুক্তি এবং হল-বন্টন নিয়ে টলিউডে যে মতবিরোধ দেখা গিয়েছিল, তাতে সামগ্রিকভাবে বাংলা ছবির ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে বলে আলোচনা শুরু হয়েছিল। এই বিতর্ক এড়াতে এবার বাংলা ছবির ফিল্ম স্ক্রিনিং কমিটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।
সম্প্রতি প্রযোজক ও পরিবেশকদের মধ্যে একটি মিটিং হয়েছে। মিটিং শেষে ইমপা-র (IMPA) সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত TV9 বাংলা-কে জানিয়েছেন:
“সকল প্রযোজকের উপস্থিতিতে আলোচনা করে এটাই ঠিক হয়েছে যে, বড়দিনে তিনটে বাংলা ছবি মুক্তি পাবে। কোন তিনটে বাংলা ছবি মুক্তি পাবে, বাকি ছবিগুলো কোন তারিখ মুক্তি পাবে, তা ঠিক হবে আগামী মিটিংয়ে। শনিবার এই মিটিং হবে।”
কোন ছবিগুলি মুক্তির দৌড়ে?
বিশেষ সূত্রের খবর, ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস এবং ইমপা-র সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত এই মিটিংয়ে মধ্যস্থতা করবেন। বড়দিনের মুক্তির দৌড়ে যে ছবিগুলো আছে:
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘লহো গৌরাঙ্গের নাম রে’
অভিজিত্ সেনের পরিচালনায় ‘প্রজাপতি টু’
অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’
চন্দ্রাশিস রায়ের পরিচালনায় কাকাবাবু সিরিজের নতুন ছবি
মিতিন মাসি সিরিজের নতুন ছবিটির মুক্তির জন্যও আবেদন করা হয়েছে।
এই ছবিগুলির মধ্য থেকে কোন তিনটি ২৫ ডিসেম্বর সিনেমা হলে দেখা যাবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে টলিউড।
সিনেমা হল মালিকদের মত
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনেমা হল মালিকের বক্তব্য, “আমরা ছবির ব্যবসা হোক, এটা চাই। টলিপাড়ায় যেসব অভিনেতা-অভিনেত্রী বা পরিচালক-প্রযোজক আজ অবধি সিনেমা হলে বেশি দর্শক আনতে পেরেছেন, আমরা তাঁদের ছবিই দেখাতে চাই। আশা করি স্ক্রিনিং কমিটির আলোচনায় ব্যবসার দিকটা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বিভিন্ন ছবি মুক্তির জন্য কিছু নিয়ম তৈরি করে দেওয়া হয়, তাহলে প্রযোজকদের পক্ষে সুবিধা হতে পারে। তবে, আগামী বছর বাংলা ছবি মুক্তির ক্ষেত্রে টলিপাড়ায় বিভিন্ন পক্ষের এই সমীকরণ কী মোড় নেয়, তা দেখার বিষয়।