আধুনিকতার চাপে একসময় মুখ থুবড়ে পড়েছিল মৃৎশিল্প। প্লাস্টিক আর ফাইবারের দাপটে চরম অর্থকষ্টে দিন কাটাতেন হাওড়া জেলার কুমোর পরিবারগুলো। তবে এবার সেই মন্দার মেঘ কাটিয়ে আশার আলো দেখাচ্ছে মাটির টব। হাওড়ার বাগান্ডার শতাধিক কুমোর পরিবারে এখন খুশির মেজাজ। ৪ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ১২ ইঞ্চি— সব মাপের টবের চাহিদাই এখন আকাশছোঁয়া।
শীতের মরশুম শুরু হতেই বাগান প্রেমীদের কাছে মাটির টব হয়ে উঠেছে প্রথম পছন্দ। প্লাস্টিকের টব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক হওয়ায় সচেতন মানুষ এখন মাটির জিনিসের দিকেই ঝুঁকছেন। ৪, ৬, ৮, ১০ এবং ১২ ইঞ্চির টবের চাহিদা মেটাতে নাভিশ্বাস উঠছে শিল্পীদের। বাগান্ডায় তৈরি এই টব শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, পৌঁছে যাচ্ছে ভিন জেলাতেও। গত কয়েক বছরে যাঁরা অভাবের তাড়নায় এই শিল্প ছেড়ে দিচ্ছিলেন, এই বিপুল চাহিদায় তাঁরাও ফের নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। মৃৎশিল্পীদের কথায়, মাটির জিনিসের এই পুনর্জাগরণ কেবল ঐতিহ্যকেই বাঁচাবে না, বরং গ্রামীণ অর্থনীতিকেও মজবুত করবে।