বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা এবার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গেল। সম্প্রতি কুষ্টিয়ার এক ধর্মীয় সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামির প্রার্থী তথা ইসলামি বক্তা আমির হাফজের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যা ঘিরে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ওই সম্মেলনে আমির হাফজ হিন্দুদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি প্রাণে বাঁচতে চান, তবে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এটা আর শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা এখন আমাদের কট্টর ইসলামি দেশ।”
হয় ধর্মান্তর, নয় মৃত্যু! ওই ইসলামি নেতা হিন্দুদের সামনে দুটি মাত্র পথ খোলা রেখেছেন— হয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে, নয়তো দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। এই ভয়াবহ হুমকির পরও মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ আরও তীব্র হয়েছে। ময়মনসিংহে দীপু দাস নামে এক হিন্দু যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার নৃশংস ঘটনাও সামনে এসেছে।
আতঙ্কে হিন্দু পরিবারগুলি: খবর পাওয়া যাচ্ছে, চট্টগ্রামের অন্তত তিনটি হিন্দু পরিবারকে ঘরে আটকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও ঝিনাইদহ এলাকায় জামাত আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হিন্দুদের হুমকি দিচ্ছে। প্রাণের ভয়ে অনেক পরিবার এমনকি থানায় অভিযোগ জানাতেও সাহস পাচ্ছে না। আমির হাফজের পাশে এই বিদ্বেষী প্রচারের সময় মামুনুল হকের মতো বিতর্কিত ধর্মগুরুদেরও দেখা গিয়েছে, যা সেদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল।