আর অচেনা নম্বর থেকে আসা ফোন নিয়ে দুশ্চিন্তা নয়। ফোন রিসিভ করার আগেই আপনি জেনে যাবেন ওপ্রান্ত থেকে কে আপনাকে ফোন করছে। সূত্রের খবর, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই যুগান্তকারী নিয়ম চালু হতে পারে। টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের (DoT) তরফে দেশের টেলিকম অপারেটরদের এই বিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হবে।
কী সেই নির্দেশ? ভারতীয় কোনও নম্বর থেকে ফোন এলেই ফোন রিসিভারের ডিসপ্লেতে ফুটে উঠবে সেই নম্বরের কেওয়াইসি (KYC) রেজিস্টার করা নাম। অর্থাৎ, অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলেও আপনাকে আর Truecaller-এর মতো কোনও থার্ড-পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে না। বর্তমানে হরিয়ানায় এর ট্রায়ালও শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই ফিচারটির নাম হবে কলার নেম প্রেজেনটেশন (Caller Name Presentation – CNAP)। এই প্রযুক্তি সরাসরি নম্বরটি যে নামে রেজিস্টার থাকবে (কেওয়াইসি-তে যে নাম), তা কলার আইডি হিসাবে দেখাবে। প্রতারণামূলক বা সন্দেহজনক কোনও ফোন এলে ফ্ল্যাগ অ্যালার্টের ক্ষেত্রে Reliance Jio বা Airtel যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে, টেলিকমিউনিকেশন বিভাগও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
কারা নাম লুকাতে পারবেন না? এই ফিচারটি ডিফল্ট হিসাবে ‘অন’ থাকবে। তবে যিনি ফোন পাবেন, তিনি চাইলে নাম দেখার বিষয়টি বন্ধ করে দিতে পারবেন। কিন্তু যিনি ফোন করছেন, তিনি চাইলেও নিজের নাম গোপন করার অপশন পাবেন না। তবে মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক এবং গোয়েন্দারা এই সুবিধা থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
DoT ও টেলিকম রেগুলেটরি অথারিটি অব ইন্ডিয়া (TRAI) জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ প্রতারণা ও স্প্যাম কল উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেবে। কারণ ফোন করলেই স্ক্রিনে আসল পরিচয় ফুটে উঠবে, ফলে মিথ্যা কথা বলে প্রতারণা করা কঠিন হবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সাল থেকেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে আপত্তি ওঠায় তা আটকে ছিল। ২০২৪ সালে TRAI সেই দাবি খারিজ করে দেয়। কাতার সহ একাধিক দেশে এই নিয়ম কর্পোরেট ক্ষেত্রে সীমিত থাকলেও, ভারতে এটি সবার জন্য প্রযোজ্য হতে চলেছে।