শীতের মিঠে রোদ আর বাউল গানের সুরে মঙ্গলবার, ৭ই পৌষ থেকেই শুরু হচ্ছে শান্তিনিকেতনের বিশ্ববিখ্যাত পৌষ মেলা। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য এই মেলাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে বোলপুরে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের কড়া গাইডলাইন মেনে মেলা আয়োজনে কোনো খামতি রাখছে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন।
রবিবারই মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অমিত হাজরা এবং বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়াল। এবারের মেলা ছ’দিনের। মেলা প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে প্রায় ৩০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়াও পাঁচটি ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে নজরদারি চালানো হবে। যানজট নিয়ন্ত্রণে মেলা সংলগ্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন—এই তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ২,৫০০ পুলিশকর্মী ও ১৫-১৬ জন উচ্চপদস্থ অফিসার। ইভটিজিং ও পকেটমারি রুখতে সক্রিয় থাকছে পুলিশের বিশেষ দল।
পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ জোর দিয়ে এবার পর্যাপ্ত বায়ো-টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে স্টল বণ্টন করা হলেও এবারের ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে মেলা কমিটি। বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারাও এবার স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মেলা সামলানোর গুরুদায়িত্ব পালন করবেন। সব মিলিয়ে কড়া শৃঙ্খলা আর ঐতিহ্যের মিশেলে ফের একবার মেতে উঠতে প্রস্তুত শান্তিনিকেতন।