সমুদ্র সৈকতের টানে দিঘায় আসা পর্যটকদের জন্য এবার উপরি পাওনা জগন্নাথ মন্দিরের রাজকীয় পরিবেশ। দিঘার জগন্নাথ ধামকে আরও আকর্ষণীয় এবং আধ্যাত্মিক করে তুলতে পুরীর মন্দিরের আদলে একাধিক নতুন পরিষেবা শুরু করল মন্দির কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে দিঘার মন্দিরের চূড়াতেও ভক্তদের দেওয়া ধ্বজা বা পতাকা উড়বে। শীতের মরশুমে পর্যটকদের ভিড় সামলাতে এবং তাঁদের ভক্তি নিবেদনে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
শুরু হলো ধ্বজা সেবা: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভক্তরা যেমন মনস্কামনা পূরণের জন্য ধ্বজা দান করেন, সেই একই প্রথা এবার চালু হলো দিঘাতেও। ইসকন কলকাতার মুখপাত্র তথা মন্দিরের ট্রাস্টি রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, ভক্তরা অগ্রিম বুকিং-এর মাধ্যমে ধ্বজা দান করতে পারবেন। প্রতিদিন বিকেল ৪টে নাগাদ সেবায়েতরা মন্দিরের সুউচ্চ চূড়ায় উঠে এই ধ্বজা বাঁধবেন। এই দৃশ্য চাক্ষুষ করতে ইতিমধ্যেই মন্দিরে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা।
মহাপ্রসাদের স্বাদ ও বুকিং: কেবল ধ্বজা নয়, পুরীর মতোই এখানেও মিলছে আট রকমের সুস্বাদু ভোগ। মেনুতে থাকছে খিচুড়ি, লুচি, হরেক রকমের সবজি এবং মিষ্টি। প্রাতঃরাশ থেকে শুরু করে বিশেষ মধ্যাহ্নভোজ এবং সন্ধ্যার মহাপ্রসাদ—সবই ভক্তদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে এই প্রসাদ পেতে গেলে করতে হবে অগ্রিম বুকিং। দুপুরের ভোগের জন্য আগের দিন সকাল ১০টার মধ্যে এবং রাতের ভোগের জন্য ওই দিন সকাল ১১টার মধ্যে নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।
পর্যটনে নয়া দিশা: দিঘার পর্যটনে এই মন্দিরটি এখন প্রধান আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশা, ধ্বজা সেবা এবং সুশৃঙ্খল প্রসাদ বিলি ব্যবস্থার ফলে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আধ্যাত্মিকতা আর সমুদ্রের নীল জলরাশির মিশেলে দিঘা এখন আক্ষরিক অর্থেই ‘বাংলার পুরী’ হয়ে ওঠার পথে।