গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA)-এর ৩১৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশে বড়সড় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ১২ সপ্তাহের জন্য সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এর ফলে এখনই চাকরি হারাচ্ছেন না ওই শিক্ষকরা।
কেন স্থগিতাদেশ? ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দেওয়ার আগে পাহাড়ের তৎকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং কোন পরিস্থিতিতে এই নিয়োগ হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখেনি। জিটিএ-র আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার সওয়ালে জানান, এই ৩১৩ জন শিক্ষক গত ১০-১২ বছর ধরে অস্থায়ীভাবে পরিষেবা দিচ্ছিলেন। রাজ্যের নীতিগত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই তাঁদের স্থায়ী করা হয়েছিল। পাশাপাশি সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা, এই সময় একসঙ্গে এত শিক্ষক ছাঁটাই হলে স্কুলগুলি পঠনপাঠন ও পরীক্ষা পরিচালনায় চরম সংকটে পড়বে।
বিকাশ ভট্টাচার্যের আপত্তি: যদিও মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, নির্দিষ্ট নিয়ম না মেনে কাউকে এভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া যায় না। তবে আদালত সব পক্ষকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। হলফনামা পেশের পরই পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারিত হবে। উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই ৩১৩ জনের নিয়োগকে ‘সম্পূর্ণ বেআইনি’ বলে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল জিটিএ।