বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে বারবার বাড়ি ছাড়ার চরম পরিণতি ঘটল ভাঙরে। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্বামী দেবাশিস নস্করকে। বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙরের কালিকাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ খাল থেকে মৃত গৃহবধূ মৌমিতা নস্কর (২১)-এর দেহ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কালিকাপুরের বাসিন্দা দেবাশিস নস্করের সঙ্গে ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকার বাসিন্দা মৌমিতার বছর চারেক আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। অভিযোগ, মৌমিতা একাধিকবার পরপুরুষের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চরমে পৌঁছায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অশান্তি চলাকালীন দেবাশিস মৌমিতাকে মারতে মারতে ঘটকপুকুর খাল পাড়ে নিয়ে আসেন। নির্জন খালপাড়ে প্রথমে তিনি স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করেন। এরপর দেহ লোপাট করার জন্য কচুরিপানায় ভরা খালের জলে ফেলে দেন বলে অভিযোগ।
দেহ উদ্ধার, স্বামী গ্রেফতার:
প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অভিযুক্ত দেবাশিস নস্করকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর রাতেই খাল থেকে মৌমিতার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
অন্যদিকে, মৃত গৃহবধূর বাবার অভিযোগ, শুরু থেকেই পণ দিতে না পারার কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মৌমিতাকে মারধর করত। তিনি আরও জানান, পরে মেয়ে যখন অন্য ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়, তখন জামাই তাকে ফিরিয়ে আনে। বাবার অনুরোধ সত্ত্বেও দেবাশিস মৌমিতাকে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেননি। শেষমেশ জামাইয়ের বাড়ির লোকেরা তাঁদের ঘরে তুলতে রাজি না হওয়ায়, তাঁরা একটি ভাড়াবাড়িতে গিয়ে ওঠেন। সেখানেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও গার্হস্থ্য হিংসার জটিল জালে জড়িয়ে শেষ হলো এক গৃহবধূর জীবন। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।