হুগলির সিঙ্গুরের নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শরিকি সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ মেটানোর নামে এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ সামনে এসেছে। তরুণীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত অফিসে ডেকে উপপ্রধানের সামনেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাকে খুন ও ধর্ষণের হুমকি দেন।
এই হুমকির জেরে এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই তরুণী যে তিনি সরাসরি থানায় না গিয়ে বাড়ি থেকেই সিঙ্গুর থানায় মেইল মারফত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মেইলে অভিযোগ জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করে তরুণী বলেন, “চারিদিকে গুন্ডাদের রাজত্ব চলছে। পঞ্চায়েতে গিয়ে যদি গুন্ডাদের হুমকি খেতে হয়, থানাতে গিয়েও দেখা যাবে যে গুন্ডা বসে রয়েছে।” তাই নিরাপত্তার অভাব বোধ করে তিনি পুলিশি সহযোগিতা চেয়েছেন।
পঞ্চায়েত অফিসে যা ঘটেছিল:
তরুণীর দাবি, পক্ষাঘাতে আক্রান্ত বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এই সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে কাকার সঙ্গে পারিবারিক বিবাদ চলছিল, যা নিষ্পত্তির জন্য গত বুধবার তাঁকে নসিবপুর পঞ্চায়েতে ডেকে পাঠানো হয়। অভিযোগ, সেখানে বিবাদ মেটানোর বদলে উপস্থিত জনৈক এক ব্যক্তি তরুণীকে খুন ও ধর্ষণের হুমকি দেন। এবং এই পুরো ঘটনাটি পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের সামনেই ঘটে।
উপপ্রধানের বক্তব্য:
যদিও নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোবিন্দ ধাড়া এই সমস্ত অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “পারিবারিক বিবাদ মেটাতে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ওই যুবতীকে ডেকে আলোচনা চলছিল। তার ভিডিয়ো করছিলেন তরুণী। তাঁকে ভিডিয়ো করতে নিষেধ করা হয়। এবং ভিডিয়োটি ডিলিট করে দেওয়া হয়।”
খুন ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ উড়িয়ে উপপ্রধান বলেন, “সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। তাঁর উপর কোনও জোরজুলুম বা হুমকির ঘটনা ঘটেনি। মহিলারা পারলে একজনকে ফাঁসিয়ে দিতে পারেন। পঞ্চায়েতের ঘরে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তদন্তে সমস্ত ঘটনা সত্য কী মিথ্যা, তা প্রমাণিত হয়ে যাবে।”