যে মানুষটি একসময় দেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে লড়েছেন, সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর এবার সেই প্রাক্তন জওয়ানই শিকার হলেন ভয়ংকর প্রতারণার। নিজের পৈতৃক ভিটে-মাটি হারিয়ে তিনি এখন সস্ত্রীক কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে শান্তিপূর্ণ ধর্নায় বসেছেন।
কার বিরুদ্ধে অভিযোগ?
ঘটনায় অভিযোগের তির সরাসরি নদিয়ার হাঁসখালি তৃণমূল যুব সভাপতি-এর বিরুদ্ধে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান শঙ্করকুমার মজুমদারের অভিযোগ, ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করে ওই তৃণমূল নেতা তাঁর জমি-বাড়ি দখল করে নিয়েছেন।
২০০৫ সালে নদিয়ার বগুলায় জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেছিলেন শঙ্করকুমার মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা জোর করে সেই মূল্যবান সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত এই দেশপ্রেমিকের দাবি, সম্পত্তি দখলের পর তিনি বারবার পুলিশ ও মহকুমা শাসককে লিখিতভাবে জানালেও কোনও লাভ হয়নি। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাতেই তিনি বাধ্য হয়ে কলকাতার বুকে ধর্নায় বসেছেন।
মঙ্গলবার এই ঘটনার খবর পেয়েই ধর্না মঞ্চে অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। দেশের জন্য লড়া একজন মানুষের এমন করুণ পরিণতিতে রাজ্য জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভিটে-মাটি হারানো জওয়ান দ্রুত ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।