মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) ‘বাবরি’ মসজিদ তৈরির ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্কে কঠোর অবস্থান নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল তাঁকে দল-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য সাসপেন্ড করার পরদিনই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করলেন যে, ভোটের আগে কেউ কেউ বিজেপির (BJP) থেকে টাকা নিয়ে মুর্শিদাবাদের শান্তি নষ্ট করতে চাইছে।
বৃহস্পতিবার বহরমপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বলেন:
“মুর্শিদাবাদ এমনি শান্ত জেলা। তবে কেউ কেউ বিজেপির থেকে টাকা খেয়ে ভোটের আগে এইসব করছে। নতুন করে এখানে অশান্তি হোক আর NIA-র হাতে আমাদের ছোট ছোট ভাই বোনদের তুলে দিতে চাইছে। এই অশান্তির প্রশ্রয় দেবেন না। কেউ কেউ টাকা খেয়ে ভোটের আগে বিজেপির তাঁবেদারি করে। এরা দেশের শত্রু।”
তিনি আরও বলেন যে, যারা বিজেপির হয়ে কাজ করে অশান্তি ছড়াতে চাইছে, তারা দেশের শত্রু।
নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে কড়া বার্তা: মুখ্যমন্ত্রী একই মঞ্চ থেকে নির্দল প্রার্থীদের ভোট না দেওয়ার জন্যও জনগণকে অনুরোধ করেন।
মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য: হুমায়ুন কবীরের এই পদক্ষেপকে সাম্প্রদায়িক উস্কানির ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিমও। তিনি হুমায়ুনকে দল থেকে সাসপেন্ড করার সময় একই সুরে কথা বলেন:
“প্রত্যেকবার ভোটের আগে কোনও না কোনও গদ্দারকে নিয়ে গিয়ে কার্ডটা খেলে। এবার হুমায়ুন ভাইকে ধরেছে।”
প্রেক্ষাপট: উল্লেখ্য, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর বেলডাঙায় ‘বাবরি’ মসজিদের শিলান্যাস করার ঘোষণা করেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এই ঘোষণার পরেই তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তাঁকে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সাসপেন্ড করে। কলকাতা হাইকোর্ট এই শিলান্যাসে হস্তক্ষেপ না-করে বরং প্রশাসনকে কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে।