ভারতীয় বিমান বাহিনীর (Indian Air Force – IAF) বায়ু শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে চলেছে। MiG-21 যুদ্ধবিমানগুলি অবসর গ্রহণের পর স্কোয়াড্রন ক্ষমতা বাড়াতে দেশীয়ভাবে তৈরি নতুন যুদ্ধবিমানের উপর নির্ভর করছে IAF। এই প্রেক্ষাপটে, দেশীয়ভাবে তৈরি যুদ্ধবিমান তেজস এমকে১এ (Tejas Mk1A) আজ, ১৭ অক্টোবর, তার প্রথম পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্থাপন করল। উড্ডয়নের পরপরই বিমানটিকে জলকামান স্যালুট জানানো হয়।
তেজস এমকে১এ-এর প্রথম উড্ডয়ন উপলক্ষে এইচএএল (HAL)-এর বিমান উৎপাদন বিভাগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও উপস্থিত ছিলেন।
নাসিকে উৎপাদন লাইনের উদ্বোধন
আজ নাসিকের এইচএএল ফ্যাসিলিটিতে তেজস মার্ক ১এ-এর তৃতীয় উৎপাদন লাইন এবং এইচটিটি-৪০-এর দ্বিতীয় উৎপাদন লাইন উদ্বোধন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে, বেসিক ট্রেনার বিমান এবং সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান দর্শনীয় উড্ডয়ন করে ভারতের বাড়তে থাকা বায়ু শক্তির একটি চিত্র উপস্থাপন করে। Sukhoi-30MKI বিমান বাহিনীর মেরুদণ্ড গঠন করলেও, তেজস Mk1A পাকিস্তানি F-16 এবং চিনা J-10 যুদ্ধবিমানের মোকাবিলা করার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
বহরে মোট ১৮০টি বিমান
ভারত সরকার সম্প্রতি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে আরও ৯৭টি তেজস এমকে১এ বিমানের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। পূর্বে, ৮৩টি তেজস এমকে১এ যুদ্ধবিমানের অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। ফলস্বরূপ, ভবিষ্যতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর কাছে মোট ১৮০টি তেজস এমকে১এ যুদ্ধবিমান থাকবে।
অস্ত্রের সক্ষমতা
WION-এর প্রতিবেদন অনুসারে, তেজস Mk1A বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র বহন করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
একটি অভ্যন্তরীণ ২৩ মিমি GSh-23 কামান
ডার্বি এবং R-73-এর মতো আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র
লেজার-নির্দেশিত বোমা, নির্ভুল-নির্দেশিত অস্ত্র এবং রকেটের মতো আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য অস্ত্র।
এতে অস্ত্র বহনের জন্য নয়টি বহিরাগত হার্ডপয়েন্ট এবং বহিরাগত জ্বালানি ট্যাঙ্ক থাকবে, যা নমনীয় মিশন লোডের সুযোগ দেবে।