‘দুর্যোগের সময় কোথায় ছিলেন?’, তারানগর পরিদর্শনের পর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব হুমায়ূন কবীর

পদ্মার গর্ভে তলিয়ে যাওয়া মুর্শিদাবাদের লালগোলার তারানগর এলাকা পরিদর্শন করে এসে ফের একবার শিরোনামে এলেন তৃণমূলের ‘বিদ্রোহী’ নেতা ও বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। তিনি শুধু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেই ক্ষান্ত হননি, পাশাপাশি একহাত নিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রী সহ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকেও।

লালগোলার তারানগরে পদ্মার ভাঙন পরিস্থিতি ও স্থানীয়দের দুর্ভোগ সরেজমিনে দেখে এসেছেন হুমায়ূন কবীর। জানা গেছে, এরপরেই তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি আক্রমণ করেন। যদিও কী বিষয়ে আক্রমণ করেছেন তার বিস্তারিত তথ্য এখনও স্পষ্ট নয়, তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দুর্যোগের সময় বিরোধী দলনেতার ভূমিকা নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

তৃণমূল নেতৃত্ব ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ
শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণের পাশাপাশি হুমায়ূন কবীর তাঁর দলীয় নেতা-নেত্রী এবং রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রীকেও সরাসরি আক্রমণ করেন। হুমায়ূন কবীরের বিগত মন্তব্যে বারবার তাঁর দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। এমনকি, তিনি সংখ্যালঘুদের স্বার্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের একটি পৃথক রাজনৈতিক দল গঠনের কথাও ঘোষণা করেছিলেন।

এই প্রেক্ষাপটে, এবার পদ্মার ভাঙন এবং বন্যাত্রাণ বিতর্কে তিনি যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন, তাতে রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। হুমায়ূন কবীরের আগের অভিযোগগুলির মধ্যে ছিল:

জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ: তিনি বারবার মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বের অযোগ্যতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন।

সংখ্যালঘুদের আস্থা: তাঁর দাবি, সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন।

সরকারি পরিষেবা: রাজ্যের কিছু সরকারি পরিষেবা এবং আমলাদের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

লালগোলার তারানগর পরিদর্শনের পর তাঁর এই নতুন আক্রমণ, বিশেষত মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেওয়ার বিষয়টি, তৃণমূলের অন্দরে তাঁর অবস্থানকে আরও একবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy