দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল স্থানীয় বাসিন্দারা। পরকীয়া সন্দেহের টানাপোড়েন শেষে, নিজের স্ত্রীর সঙ্গে এক তৃণমূল নেতার ঘটা করে বিয়ে দিলেন স্বামী। বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রিপন হালদারের সঙ্গে স্থানীয় এক আইসিডিএস সহায়িকার প্রেম নিয়ে দীর্ঘদিনের অশান্তি অবশেষে পৌঁছাল নাটকীয় পরিণতিতে।
অভিযোগ, বছর ১৫-র বৈবাহিক জীবন থাকলেও ওই মহিলা তৃণমূল নেতা রিপনের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মহিলার স্বামী দীপঙ্কর দাসের দাবি, গত শুক্রবার ক্যানিংয়ের এক ভাড়া বাড়িতে রিপন ও তাঁর স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন তিনি। এরপর মেজাজ না হারিয়ে গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে মালাবদল ও সিঁদুরদান করিয়ে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন করান দীপঙ্কর। তিনি বলেন, “আমি চাই ওরা সুখে থাকুক, তাই নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়েছি।”
তবে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ও আইনি চাপানউতোর। তৃণমূল নেতা রিপন হালদারের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে এবং মারধর করে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ওই মহিলাও পাল্টা স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, স্বামীই পরকীয়া করেন এবং তাঁকে মারধর করতেন। বর্তমানে বাসন্তী থানার পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।