গত তিন দিন ধরে দেশ জুড়ে ইন্ডিগোর (IndiGo) কয়েকশো বিমান বাতিল এবং হাজার হাজার যাত্রীর হয়রানির ঘটনায় এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক।
এই গুরুতর পরিস্থিতিতে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কিঞ্জরাপু রামমোহন নাইডু ব্যক্তিগতভাবে ইন্ডিগোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। বৈঠকে অসামরিক বিমান পরিবহণ সচিব, ডিজিসিএ (DGCA), মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (AAI) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইন্ডিগোর যুক্তি: বৈঠকে ইন্ডিগো বিমান বাতিলের সমস্যার কথা স্বীকার করে নেয় এবং এর জন্য মূলত কর্মী সঙ্কটকে দায়ী করে।
সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন (FDTL) বা নতুন ডিউটি রোস্টার করতে গিয়েই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তারা উল্লেখ করে, উন্নত ব্যবস্থাপনা ও ফ্লাইট নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আদালতের নির্দেশ অনুসারে সংশোধিত FDTL নিয়মগুলি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছিল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অসন্তোষ ও নির্দেশ: সংস্থার এই যুক্তিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তুষ্ট হননি। তিনি পাল্টা যুক্তি দেন যে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য ইন্ডিগো পর্যাপ্ত সময় পেয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য এবং বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিমান ভাড়া যাতে বৃদ্ধি না পায় তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি ইন্ডিগোকে কড়া নির্দেশ দেন।
যাত্রী হয়রানি কমাতে মন্ত্রী ইন্ডিগোকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন:
আগাম জানানো: বিমান বাতিল করতে হলে পর্যাপ্ত সময় থাকতে আগেভাগে যাত্রীদের জানাতে হবে।
সুযোগ-সুবিধা: যাত্রীদের হয়রানি কমাতে প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা, প্রয়োজনে হোটেলে থাকার ব্যবস্থাও সঙ্গে সঙ্গে করতে হবে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে মন্ত্রকের নির্দেশ: মন্ত্রী এএআই (AAI)-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন এবং নির্দেশ দেন যে সমস্ত বিমানবন্দর পরিচালকদের অবশ্যই পরিস্থিতির উপর ধারাবাহিকভাবে নজর রাখতে হবে এবং আটকে পড়া সমস্ত যাত্রীদের পূর্ণ সহায়তা প্রদান করতে হবে। তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন, যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বিমানবন্দর, এটিসি (ATC) এবং অন্যান্য বিমান সংস্থা-সহ সকল স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।