‘খগেন মুর্মুর ওপর কারা, কীভাবে হামলা চালাল?’ বঙ্গ বিজেপি সাংসদদের বৈঠকে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদির

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দলীয় কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে আজ, ৩ ডিসেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) তাঁর দফতরে রাজ্যের বিজেপি সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠকে দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর সহ অন্যান্য সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

খগেন মুর্মুর ওপর হামলার বিস্তারিত খোঁজ
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশেষভাবে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর (Khagen Murmu) ওপর হামলার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। তিনি জানতে চান:

কারা এবং কীভাবে খগেন মুর্মুর ওপর হামলা চালিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে নাগরাকাটায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের গাড়িতে পাথর ছোড়া হয়, যার আঘাতে গুরুতর আহত হন খগেন মুর্মু। তাঁকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে হয় এবং তাঁর অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছিল।

সংগঠনের হালহকিকত ও উন্নয়নের প্রশ্ন
সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুধু হামলা নয়, বাংলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও প্রধানমন্ত্রী বিস্তারিত আলোচনা করেন:

পুলিশি চাপ: বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর পুলিশ-প্রশাসনের মাধ্যমে কীভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেন মোদী।

সংগঠন: রাজ্যে বিজেপির সংগঠনের হালহকিকত জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। ২০২৬ নির্বাচনের আগে নিচুতলায় দলের প্রস্তুতি কেমন, তা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন।

উন্নয়ন: কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেওয়া সত্ত্বেও দার্জিলিঙে উন্নয়নের কাজ কেন থমকে রয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি রওনা
এই বৈঠকের আবহেই বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি গেলেন। সূত্রের দাবি, রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন।

অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত বাংলায় আসার আবেদন জানিয়েছেন। ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় আসবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত তাঁর দফতর নেবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy