একদিকে নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে, অন্যদিকে রাজস্থানের জালোর জেলার ১৫টি গ্রামে মহিলাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলো এক অদ্ভুত ‘তালিবানি’ ফতোয়া। আগামী প্রজাতন্ত্র দিবস থেকে এই গ্রামগুলোতে তরুণী ও বধূদের জন্য ক্যামেরা ও ইন্টারনেটযুক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার গাজীপুর গ্রামে চৌধুরী সম্প্রদায়ের একটি সভায় এই বিতর্কিত নির্দেশ দেন মহকুমা সভাপতি সুজনরাম চৌধুরী। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, বাড়ির মেয়ে বা বউরা কেবল কিপ্যাড যুক্ত সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন, যাতে কোনও ইন্টারনেট বা ক্যামেরা থাকবে না। এমনকি বাড়ির বাইরে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে বা প্রতিবেশীর বাড়িতে গেলেও সঙ্গে মোবাইল রাখা চলবে না। স্কুলপড়ুয়াদের পড়াশোনার খাতিরে ছাড় দেওয়া হলেও, তাঁরা শুধুমাত্র ঘরের ভেতরেই ফোন ছুঁতে পারবে।
অদ্ভুত সাফাই: এই লিঙ্গবৈষম্যমূলক নির্দেশের স্বপক্ষে সুজনরাম চৌধুরীর দাবি, মহিলারা গৃহকর্মের সুবিধার্থে শিশুদের হাতে মোবাইল দিয়ে দেন, যা শিশুদের চোখের ক্ষতি করে। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই নিষেধাজ্ঞা কেন শুধুমাত্র মহিলাদের ওপর? কেন পুরুষদের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম নেই? ডিজিটাল বিপ্লবের যুগে মহিলাদের এইভাবে প্রযুক্তির আলো থেকে দূরে সরিয়ে রাখার এই একতরফা সিদ্ধান্তে সরব হয়েছেন সমাজকর্মীরা। গ্রামের মহিলাদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে।