উত্তর-পূর্ব ভারতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি পৃথক হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। অসমের তিনসুকিয়া জেলায় সেনা ক্যাম্পের কাছে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর একদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশেও হামলা চালায় জঙ্গিরা।
অসমে গ্রেনেড হামলা: জখম ৩ সেনা
বৃহস্পতিবার রাতে অসমের তিনসুকিয়া জেলার কাকোপাথার সেনা ক্যাম্পের কাছে গুলি ও গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার: ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৯ গ্রেনেডিয়ার্স ইউনিট ক্যাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
ক্ষয়ক্ষতি: হামলায় তিনজন ভারতীয় সেনা জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তল্লাশি: রাজ্য পুলিশ এবং ভারতীয় সেনা ইতিমধ্যেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকেরা অরুণাচলপ্রদেশের তেঙ্গাপানিতে একটি খালি ট্রাক খুঁজে পেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই ট্রাকেই গ্রেনেড বোঝাই করে এনেছিল হামলাকারীরা।
যদিও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে প্রাথমিকভাবে একাধিক মহলের অনুমান, নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম- ইউএলএফএ-স্বাধীন এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
অরুণাচলেও হামলা, আহত ৪ জওয়ান
বৃহস্পতিবারের আগে, বুধবারেও অরুণাচলপ্রদেশের চাংলাং জেলায় অসম রাইফেলসের একটি ক্যাম্পে হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থান ও সময়: চাংলাং জেলার মানমাও এলাকার হাটমান গ্রামে অবস্থিত অসম রাইফেলসের এই ক্যাম্পটিতে বুধবার রাত আড়াইটা নাগাদ সন্দেহভাজন NSCN (K-YA) জঙ্গিরা হামলা চালায়।
ক্ষয়ক্ষতি: বুধবার রাতের এই হামলায় চারজন জওয়ান জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুই সেনা, হরিশরণ এবং রাহুল, যাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁদের এয়ারলিফট করে জোরহাটের ৫ নম্বর এয়ার ফোর্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরপর দু’দিনের এই হামলায় উত্তর-পূর্বের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ও আতঙ্ক বেড়েছে। হামলাকারীদের খোঁজে পুলিশ ও সেনা জোরদার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।