সাধারণত পাঁচ বছর বয়সের শিশুরা যখন খেলাধুলো আর কার্টুন নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তখন উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের এক খুদে ছাত্রী যা করল, তা দেখে রীতিমতো তাজ্জব গোটা দেশের মানুষ। ইউকেজি-তে পড়া ওই ছোট্ট মেয়েটির নাম জিজ্ঞাসা। তার জীবনের লক্ষ্য এতটাই স্থির যে, সোমবার স্কুল না গিয়ে সে সটান পৌঁছে যায় গোরখপুরের জেলাশাসক দীপক মীনার অফিসে। কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে তার লক্ষ্য ছিল একটাই—ডিএম স্যারের কাছে জেনে নেওয়া কীভাবে আইএএস হওয়া যায়।
জনতা দর্শনে মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার সময় হঠাৎ এই খুদের আগমন দেখে থমকে যান দপ্তরের কর্মীরাও। কালেক্টর দীপক মীনা যখন তাকে হাসিমুখে জিজ্ঞেস করেন, “সোনা, আমি তোমাকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি?” তখন জিজ্ঞাসা অত্যন্ত সারল্যের সাথে জানায়, “স্যার, আমিও আপনার মতো ডিএম হতে চাই। এর জন্য আমাকে ঠিক কী করতে হবে?”
বাচ্চার এই অদম্য উৎসাহ আর আত্মবিশ্বাস দেখে মুগ্ধ হন খোদ জেলাশাসক। তিনি তাকে নিজের চেয়ারে বসিয়ে অত্যন্ত সহজভাবে বুঝিয়ে বলেন, “যদি এই চেয়ারে বসতে চাও, তবে আগে রোজ স্কুলে যেতে হবে, শিক্ষকদের কথা শুনতে হবে আর মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।” জেলাশাসকের প্রতিটি কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছে জিজ্ঞাসা। তার এই অকালপক্ক জেদ এবং লক্ষ্য দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তার বাবাও। সমাজমাধ্যমে এখন ভাইরাল জিজ্ঞাসার এই অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী।