আন্তর্জাতিক চিতা দিবস উপলক্ষ্যে, ২০২৫ সালের ৪ ডিসেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে ভারতের চিতা সংরক্ষণ প্রকল্পের এক বিরাট সাফল্যের ঘোষণা করলেন। একসময় যে ‘প্রোজেক্ট চিতা’ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল, আজ তা দূরন্ত সত্যি। মাত্র তিন বছরেই ভারতে চিতার সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধি এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে।
প্রোজেক্ট চিতা – শুরু এবং সাফল্য:
ভারত সরকার ২০২২ সালে ‘প্রোজেক্ট চিতা’ শুরু করে। প্রথমে নামিবিয়া থেকে ৮টি এবং ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২টি চিতা আনা হয়েছিল। মোট ২০টি চিতা দিয়ে এই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল।
চিতার জনসংখ্যায় বিশাল লাফ:
২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের হিসেব অনুযায়ী, ভারতে এখন মোট ৩২টি চিতা রয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই ৩২টির মধ্যে ২১টি চিতার জন্ম হয়েছে ভারতেই।
সর্বশেষ সুখবর এসেছে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে। ‘মুখি’ নামের ভারতে জন্ম নেওয়া একটি স্ত্রী চিতা একবারে ৫টি সুস্থ চিতা শাবকের জন্ম দিয়েছে। এই শাবকগুলি ভারতে আনা চিতাগুলির তৃতীয় প্রজন্ম।
প্রধানমন্ত্রীর বার্তা:
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর পোস্টে স্পষ্ট করেছেন যে, চিতা সংরক্ষণ ভারতের সভ্যতাগত চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁর বক্তব্য, শুধুমাত্র চিতার সংখ্যা বাড়ানো লক্ষ্য নয়। আসল লক্ষ্য হলো এর মাধ্যমে হারানো বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।
পর্যটন ও ভবিষ্যতের পথ:
বর্তমানে কুনো জাতীয় উদ্যান এবং গান্ধীসাগর অভয়ারণ্যে চিতারা আপন মহিমায় বিচরণ করছে। এই সাফল্য চিতা পর্যটনকেও জনপ্রিয় করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বজুড়ে বন্যপ্রাণী প্রেমীদের ভারতে আসার এবং এই অসাধারণ প্রাণীদের কাছ থেকে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশীয় উদ্যোগ ও ‘চিতা মিত্রদের’ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভারত যে এক নতুন পরিবেশ ও প্রতিবেশ গড়ে তুলতে সফল হয়েছে, ভারতের এই চিতা সাফল্য সেই বার্তাই দিচ্ছে।