ভারতীয় বায়ুসেনার মেরুদণ্ড সুখোই-৩০ এমকেআই (Su-30MKI) যুদ্ধবিমানগুলি এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের দোরগোড়ায়। ৮৪টি বিমানকে ‘সুপার-৩০’ মডেলে উন্নীত করার প্রস্তাবটি বর্তমানে মন্ত্রিসভার (CCS) চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকলেও, বসে নেই বায়ুসেনা। বেঙ্গালুরুর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (SDI) ইতিমধ্যেই এই মিশনের জন্য সম্পূর্ণ দেশীয় ‘সফটওয়্যার স্যুট’ তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে।
এই আপগ্রেড কেবল যন্ত্রাংশ বদল নয়, বরং বিমানের পুরো সিস্টেমকে ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া। এতে থাকছে ভারতের নিজস্ব অত্যাধুনিক AESA রাডার, যা বহুদূর থেকে ক্ষুদ্রতম শত্রু ড্রোন বা বিমান শনাক্ত করতে সক্ষম। এছাড়া ককপিটে নতুন এভিওনিক্স এবং ডিজিটাল ফ্লাই-বাই-ওয়্যার কন্ট্রোল কম্পিউটার যুক্ত করা হচ্ছে, যা পাইলটদের যুদ্ধক্ষেত্রে আরও নিখুঁত তথ্য দেবে।
সবচেয়ে বড় চমক হলো অস্ত্রের শক্তি। এই আপগ্রেডের পর সুখোই থেকে ভারতের তৈরি ‘অস্ত্র’ (Astra MkII)-এর মতো মারাত্মক সব ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া যাবে। দেশীয় সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে ভারত এখন কৌশলগতভাবে স্বাধীন। নতুন কোনো অস্ত্র যোগ করতে এখন আর রাশিয়ার অনুমতির প্রয়োজন হবে না। HAL ও DRDO-এর যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি এই ‘সুপার-৩০’ আগামী ২০-৩০ বছর ভারতীয় আকাশসীমাকে নিশ্ছিদ্র রাখবে।