অসদাচরণে ‘জিরো টলারেন্স’! বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে ইন্দ্রজিৎ ঘোষকে বহিষ্কার করল সিপিএম

বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যখন ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’ নিয়ে ঘর গোছাতে ব্যস্ত বামেরা, ঠিক তখনই দলের এক হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে ওঠা নৈতিক স্খলনের অভিযোগ অস্বস্তি বাড়াল আলিমুদ্দিনের। উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে দলের রাজ্য কমিটির সদস্য ইন্দ্রজিৎ ঘোষকে বহিষ্কার করল সিপিএম। শুক্রবার দুই দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

কী ছিল অভিযোগ? সিপিএম সূত্রে খবর, বেলঘরিয়ার এক মহিলা কর্মী ইন্দ্রজিতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন। তাঁর দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইন্দ্রজিৎ তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। অভিযোগকারিণীর বাবা-মাও বামপন্থী আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই দলের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি বা আইসিসি (ICC) গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা মিলতেই ইন্দ্রজিৎকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

কেন্দ্রীয় কমিটির সবুজ সংকেত: ইন্দ্রজিৎ ঘোষ যেহেতু দলের রাজ্য কমিটির সদস্য, তাই তাঁকে বহিষ্কার করতে কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। শুক্রবার সেই অনুমোদন পাওয়ার পরেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন সেলিম। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আলিমুদ্দিনে চলা দু’দিনের ম্যারাথন বৈঠকের নির্যাস ছিল এই কড়া পদক্ষেপ।

ছাত্র রাজনীতি থেকে সিটু নেতৃত্ব: ছাত্র ও যুব রাজনীতি থেকে উঠে আসা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ শ্রমিক সংগঠন সিটুর (CITU) অন্যতম মুখ ছিলেন। বিশেষ করে অ্যাপ ক্যাব চালকদের সংগঠন এবং চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে সামনের সারিতে দেখা যেত তাঁকে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই গুরুতর অভিযোগ দলের ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে।

কড়া বার্তা আলিমুদ্দিনের: এর আগে বর্ষীয়ান নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এক মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগ ওঠায় তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল দল। এবার ইন্দ্রজিৎ ঘোষকে সরাসরি বহিষ্কার করে সিপিএম নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিল যে, নৈতিক প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy