নয়াদিল্লি: জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ভারতের দৃঢ় অঙ্গীকারকে আরও একবার তুলে ধরলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড নেশনস ট্রুপ কন্ট্রিবিউটিং কান্ট্রিজ (UN TCC) চিফস’ কনক্লেভ ২০২৫’-এ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিশ্ব শান্তির প্রতি ভারতের এই অবদান আমাদের সভ্যতার মূল মন্ত্র ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ (গোটা বিশ্ব একটি পরিবার) এবং ‘বিশ্ব বন্ধু’ (ভারত সবার বন্ধু)-এর ভাবধারাকেই প্রতিফলিত করে।
সেনাপ্রধান জানান, ভারত শান্তিরক্ষায় অন্যতম বৃহত্তম অবদানকারী। জাতিসংঘের মোট ৭১টি মিশনের মধ্যে ৫১টিতেই ভারত প্রায় ৩ লাখ সেনা (নারী ও পুরুষ) পাঠিয়েছে। তিনি এই সম্মেলন আয়োজনকে ‘গৌরব ও উদ্দেশ্যের প্রতিফলন’ বলে অভিহিত করেন।
৫৬টিরও বেশি সক্রিয় সংঘাত, নতুন চ্যালেঞ্জ: জেনারেল দ্বিবেদী সতর্ক করে দেন যে, আধুনিক শান্তিরক্ষা এখন ‘অভূতপূর্ব স্কেল এবং জটিলতা’-র চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বর্তমানে বিশ্ব একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যেখানে ৫৬টিরও বেশি সক্রিয় সংঘাত চলছে এবং প্রায় ১৯টি দেশ এর সঙ্গে জড়িত। তিনি ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’, নন-স্টেট অ্যাক্টরদের উত্থান, disruptive প্রযুক্তি এবং ভুল তথ্য বা ‘ডিসইনফরমেশন’-এর মতো কারণগুলিকে সংঘাতের ঐতিহ্যবাহী সীমানা ঘোলাটে করার জন্য দায়ী করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, একজন শান্তিরক্ষী এখন শুধু নিরাপত্তা প্রদানকারী নন, তিনি একাধারে একজন কূটনীতিক, প্রযুক্তি উৎসাহী এবং জাতি নির্মাতা। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, ভারত দেশীয়ভাবে তৈরি সরঞ্জাম (indigenous equipment) প্রদর্শন ও সেই ক্ষমতা অন্যদের সাথে ভাগ করে নিতে প্রস্তুত। সেনাপ্রধানের কথায়, “আমাদের একতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”