আসন্ন উৎসব-মরসুম শেষ হতেই ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (Special Intensive Revision – SIR) প্রকল্প নিয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই ইস্যুতে জনমত গড়ে তুলতে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে শহিদ মিনার ময়দানে এক বিরাট জনসভার পরিকল্পনা করেছে দলটি।
সভার মূল লক্ষ্য ও বক্তা
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেস ২ নভেম্বর এই সভা করার চেষ্টা করছে। তা সম্ভব না হলে ১১ কিংবা ১২ নভেম্বর সভাটি হতে পারে। সভার চূড়ান্ত দিনক্ষণ আগামী দু-একদিনের মধ্যেই স্থির করা হবে।
মূল বক্তা: মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উপস্থিতি: তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন।
আন্দোলনের বার্তা: তৃণমূলের স্পষ্ট কথা— একজনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিলে আন্দোলনে উত্তাল হবে বাংলা।
এসআইআর-এর নামে এনআরসি-র চেষ্টা?
তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজ্যের উন্নয়ন ও মানুষের স্বার্থে শুরু হওয়া এই SIR প্রকল্প নিয়ে বিরোধীরা ভুল ব্যাখ্যা ছড়াচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল মনে করে, বিজেপি এনআরসি কার্যকর করার অজুহাত হিসাবে এসআইআর ব্যবহার করছে এবং ভোটার তালিকা থেকে ইচ্ছেমতো নাম বাদ দিতে চাইছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এসআইআর-এর আড়ালে এনআরসি করা যাবে না এবং বৈধ ভোটারদের কিছুতেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
জনসংযোগ: তৃণমূল চাইছে, এসআইআর-এর ‘ক্ষতিকারক দিক’ সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে। সূত্রের খবর, কালীপুজোর পরই রাজ্যের শাসক শিবির সেই বার্তা ব্লকে ব্লকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পথে নামতে চলেছে।
শহিদ মিনারের সভাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য তৃণমূলের তরফে। নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা বঙ্গে আসার পরই তৃণমূলের এই সভার সিদ্ধান্ত, রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।