এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন যখন দেশজুড়ে ভুয়ো ভোটারদের বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, তখন এই প্রক্রিয়া নিয়েই শুক্রবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তাঁর মন্তব্য ছিল— “ভোটার বাতিল হলে জনপ্রতিনিধিরাও বাতিল হয়ে যাবেন।”
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শতাব্দী রায় বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বৈধতা সম্পূর্ণরূপে ভোটারদের অধিকারের উপর নির্ভরশীল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ভুয়ো ভোটারদের ভোটে জিতে কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন জনপ্রতিনিধিরা?” তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট যে, ভোটার তালিকায় অকার্যকর বা ভুয়ো ভোটার থাকলে, সেই ভোটে নির্বাচিত নেতাদের বৈধতা এবং কর্তব্যও গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
ভোটারদের অধিকারই নেতাদের বৈধতা
বৈঠকে তৃণমূলের অন্যান্য সাংসদরাও উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং ভুয়ো ভোটারদের চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এই আলোচনা হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে তারা ভোটার তালিকার সংশোধনে বিশেষ নজর দেবে এবং ভুয়ো ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তৃণমূল সাংসদরা বৈঠকে জোর দিয়ে বলেন যে, ভোটারদের অধিকার সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি তালিকার যথার্থতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শতাব্দী রায়ের বক্তব্য আরও দৃঢ় ছিল: “যদি ভোটারদের ভোট বাতিল করা হয়, তবে সেই ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অধিকারও বাতিল হওয়া উচিত।”
শতাব্দী রায় আরও বলেন যে, নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং ভোটারদের অধিকার রক্ষা করা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি। যদি ভোটারদের অধিকারকে অবহেলা করা হয় বা ভুয়ো ভোটারদের মাধ্যমে নির্বাচন প্রভাবিত হয়, তবে তা জনগণের আস্থা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ন্যায়বিচারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।