ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া (SIR) নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতাদের (State BJP Leaders) প্রচারের কৌশল বদলানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সংসদ ভবনে বাংলার ১৪ জন দলীয় এমপির সঙ্গে বৈঠকে তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন যে, এসআইআর নিয়ে প্রচারে বা ঘরোয়া আলোচনায় ভোটারের জাত, ধর্মের প্রসঙ্গ যেন একেবারেই না টানা হয়।
📌 মোদীর মূল বার্তা:
শুধু নাগরিকত্ব: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রচারে কেবল এই বিষয়টি উল্লেখ করুন যে একমাত্র ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটার তালিকায় নাম রাখার অধিকারী। ভোটার তালিকাকে পরিচ্ছন্ন করাই দলের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।
নাম বাদের দাবি এড়ানো: মোদী তাঁর দলের নেতাদের সতর্ক করেছেন যে তালিকা থেকে কারও নাম বাদ দেওয়ার দাবি প্রচারে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। নাম বাদ দেওয়া বা রাখা নির্বাচন কমিশনের কাজ।
⚠️ কৌশল বদল কেন?
প্রধানমন্ত্রীর এই পরামর্শকে বিজেপির একাংশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আগের প্রচার কৌশলের প্রতি অনাস্থা হিসেবে দেখছে। শুভেন্দু অধিকারী লাগাতার প্রচারে এক কোটির বেশি ভোটারের নাম বাদ যাবে বলে দাবি করে আসছিলেন।
তৃণমূলের ফায়দা: বৈঠকে উপস্থিত সাংসদদের একাংশের মনে হয়েছে, এসআইআর নিয়ে দলের আগ্রাসী প্রচারে সম্ভবত উল্টে তৃণমূল কংগ্রেসই লাভবান হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে এমন রিপোর্ট পাওয়ায় মোদী দলকে সতর্ক করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূলের প্রচারে প্রভাব: পদ্ম শিবির গোড়া থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়ায় তৃণমূলের পক্ষে সাধারণ মানুষকে নিজেদের দিকে টানা সহজ হয়েছে। কারণ তৃণমূল প্রচার করেছে, তালিকায় নাম না থাকলে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী জাত, ধর্মের প্রসঙ্গ না তোলার পরামর্শ দিয়েছেন।
🗣️ রাজ্য নেতাদের প্রতিক্রিয়া:
জগন্নাথ সরকার (বিজেপি এমপি): বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর এই পরামর্শের কথা জানান।
শমীক ভট্টাচার্য (রাজ্য সভাপতি): তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টিকে সবচেয়ে প্রাধান্য দিতে বলেছেন।”
চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী ফের বাংলায় প্রচারে আসবেন। এসআইআর-এর মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার পর তিনি রাজ্যে আসুন, এমনটাই চাইছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।