সম্প্রতি এসআইআর (SIR) বা সিটিজেনশিপ সংক্রান্ত আবহে নিজেদের জন্ম সার্টিফিকেট খুঁজে পেতে এবং সংশোধনের জন্য কলকাতা পুরসভায় ভিড় জমাচ্ছেন উদ্বিগ্ন নাগরিকেরা। ফলে পুরসভার কাউন্টারে জন্ম-মৃত্যু সার্টিফিকেটের জন্য লাইনের দৈর্ঘ্য ক্রমশ বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে নাজেহাল পুর কর্তৃপক্ষ এবং পুরনাগরিকদের সমস্যা কমাতে মেয়রের নির্দেশে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পৌরসভা।
পুরসভার নতুন পদক্ষেপ:
১. কাউন্টার বৃদ্ধি: আগে শুধুমাত্র ছ’ নম্বর গেট দিয়ে সার্টিফিকেট ইস্যু করা হত। বর্তমানে সিংহ দুয়ারে (২ নম্বর গেট) আরও একটি কাউন্টার খোলা হয়েছে। ২. হেল্প ডেস্ক: সিংহদুয়ারে (২ নম্বর গেট) ঢুকতেই বসানো হয়েছে হেল্প ডেস্ক বা অনুসন্ধান ডেস্ক। এখানে পুরকর্মীরা কী কী তথ্য দিলে সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে বা কোন সমস্যায় কীভাবে সমাধান হবে, সেই বিষয়ে সাহায্য করছেন। ৩. একাধিক ডেস্ক: সিংহদুয়ারে এনকোয়ারি, ডিসিবিন ডেস্ক, ডেসপ্যাচ ডেস্ক, সাব-রেজিস্ট্রার ও প্রিন্টিং ডেস্কের মতো একাধিক ডেস্ক বসানো হয়েছে। ৪. স্লট বৃদ্ধি: আগে অনলাইনে স্লট বুক করে দিনে সর্বোচ্চ ১৫০টি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হত। বর্তমানে অনলাইনে নতুন করে আরও ২০০ স্লট বাড়ানো হয়েছে, ফলে একদিনে ইস্যু হওয়া সার্টিফিকেটের সংখ্যা বেড়েছে। ৫. বোরো ভাগ: দুটি গেটে ১৬টি বোরো এলাকাকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে ভিড় সামলানো যায়।
নাগরিকদের উদ্বেগের কারণ:
সূত্রের খবর, এতদিন অনেকেই আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডের মতো নথি ব্যবহার করে সরকারি কাজ সেরেছেন। কিন্তু এসআইআর আবহে জন্ম সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক হওয়ায়, যাদের কাছে এটি নেই, তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পুরসভায় ভিড় করছেন।
লাইনের দাঁড়ানো পুরনাগরিকরা অভিযোগ করছেন, অনলাইনে স্লট বুক করতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই অনেকেই অফিস কামাই করেও জন্ম সার্টিফিকেটের জন্য ছুটছেন। শহরবাসীর একাংশ জানিয়েছেন, এসআইআর পরিস্থিতির কারণেই তারা দ্রুত সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে চাইছেন।