SIR আন্দোলনে এবার দিল্লি কাঁপাল তৃণমূল! কমিশনের আপত্তিতেও দশ সাংসদের দল নিয়ে সদর দপ্তরে ডেরেক-কল্যাণ-শতাব্দীরা

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) আন্দোলন এবার রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকালেই দলের ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের (EC) সদর দপ্তরে প্রবেশ করে।

এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও নয় সাংসদ: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র, প্রকাশ চিক বরাইক, সাজদা আহমেদ, মমতাবালা ঠাকুর, প্রতিমা মণ্ডল ও সাকেত গোখলে।

অভিষেকের চ্যালেঞ্জ ও কমিশনের পিছু হটা

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত সোমবার। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন ঘোষণা করেছিলেন যে SIR ইস্যু নিয়ে এবার সরাসরি দিল্লির বুকে চাপ বাড়াবে তৃণমূল। তাঁর নির্দেশেই এই দশ সাংসদের বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়, যাদের দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে সরাসরি প্রতিবাদ জানানো।

প্রথমে কমিশনের পক্ষ থেকে বাধা আসে। জানানো হয়, দশজন নয়, মাত্র পাঁচজন সাংসদই বৈঠকে ঢুকতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তে তৃণমূল সঙ্গে সঙ্গে আপত্তির সুর তোলে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন: “স্বচ্ছ হলে ভয় কীসের? দশ জন সাংসদই দেখা করবেন। আর পাঁচটি প্রশ্নের খোলা ময়দানে জবাব দিন লাইভ টেলিকাস্টেই।”

শেষ পর্যন্ত কমিশন নরম সুরে পিছু হটে এবং পুরো দশ জনের প্রতিনিধি দলকে বৈঠকে প্রবেশের অনুমতি দেয়। তবে লাইভ টেলিকাস্টের প্রস্তাব তারা বিন্দুমাত্র মানেনি।

অভিষেকের কড়া প্রতিক্রিয়া

লাইভ টেলিকাস্টের প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় অভিষেক কড়া প্রতিক্রিয়া দেন। তাঁর ভাষায়:

“আমাদের প্রতিনিধিরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারেরা যে সরকারি শৃঙ্খলে বাঁধা, তা তো সবাই জানেন। পরে আবার নির্বাচিত অংশটাই ফাঁস করে স্বচ্ছতার মুখোশ দেখানোর চেষ্টা চলুক, তা হতে দেওয়া যাবে না।”

দিল্লির রাজনৈতিক অঙ্গনে তৃণমূলের এই নজিরবিহীন চাপ রাজনৈতিক মহলের একাংশে নতুন উত্তাপ বাড়িয়েছে। এখন সবার নজর কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূল পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেয় তার দিকে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy