ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা ‘SIR’ (Selective Identification and Resolution) প্রক্রিয়া শুরু হতেই কলকাতা পুরসভার অন্দরে জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র নেওয়ার ধুম পড়ে গিয়েছিল। বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার এই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ তথ্য দিতে গড়িমসি করছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার পুরসভার মাসিক অধিবেশনে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ ১ আগস্ট থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইস্যু করা সার্টিফিকেটের খতিয়ান পেশ করলেন।পুরসভার রিপোর্টে কী জানা গেল?রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপি যে এলাকাগুলি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল (গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ, পার্ক সার্কাস, রাজাবাজার), সেই এলাকাগুলি থেকেই সবথেকে বেশি শংসাপত্র ইস্যু করা হয়েছে।বোরো ভিত্তিক উল্লেখযোগ্য পরিসংখ্যান:বোরো নম্বরএলাকা (অধীনস্থ)জন্ম শংসাপত্রমৃত্যু শংসাপত্রবোরো ৭তিলজলা, তপসিয়া, পার্ক সার্কাস১,৩০১টি২৩১টিবোরো ১২ই.এম বাইপাস ধার, যাদবপুর৯৮৩টি৫৭৯টিবোরো ১৫গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ৫১৬টি২৮৪টিবোরো ৩নারকেলডাঙা, রাজাবাজার৯৪৬টি৩১৪টিসদর দফতরকেন্দ্রীয় কলকাতা ও অন্যান্য১,৩২৬টি৭০১টিবিজেপির তোপ: “পুরানো বার্থ সার্টিফিকেট SIR-এর হাতিয়ার”বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন যে, এই বিপুল পরিমাণ জন্ম শংসাপত্র আসলে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ‘ডকুমেন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “রাজাবাজার, বৌবাজার বা কলাবাগানে কত জন্ম আর কত মৃত্যু হচ্ছে তা আমরা দেখিয়ে দেব। এগুলো সবই SIR-এর নথি হিসেবে দেখানো হচ্ছে।”বিজেপির দাবি, বাংলাদেশিদের বসবাসের অভিযোগ যে এলাকাগুলিতে রয়েছে, সেখানেই শংসাপত্র ইস্যু করার হিড়িক সবথেকে বেশি।তৃণমূলের পালটা জবাবশাসক দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানানো হয়েছে যে, প্রতিটি শংসাপত্রই বৈধ নথি খতিয়ে দেখে ইস্যু করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, নাগরিকরা সচেতন হয়ে আবেদন করেছেন এবং নিয়ম মেনেই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো ভুয়ো নথি বা অনৈতিক কাজের প্রশ্নই ওঠে না।
Home
OTHER NEWS
SIR আতঙ্কে শংসাপত্র নেওয়ার হিড়িক! কলকাতা পুরসভার রিপোর্টে বিস্ফোরক তথ্য, বিজেপি-তৃণমূল সংঘাত চরমে