বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসন বণ্টন নিয়ে NDA-তে বড়সড় ভাঙন। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী এবং সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি (SBSP)-এর প্রধান ওম প্রকাশ রাজভর জোটের কাছে সামান্য ৪-৫টি আসন না পাওয়ায় বিহারে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এটিকে বিদ্রোহ নয়, ‘আত্মসম্মান ও প্রয়োজনের’ জন্য নেওয়া পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন।
News18-কে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে রাজভর জানান, তিনি ‘বিহার থেকে দিল্লি পর্যন্ত’ বহু চেষ্টা করেও আসন সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি। চূড়ান্ত আসন বণ্টনের তালিকায় SBSP-কে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, জোটের শরিক হিসেবে তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যদিও তাঁর দল গত কয়েক মাস ধরে বিহারের ৩২টি জেলায় কাজ করেছে।
রাজভর বলেন, “১৯৫২ সাল থেকে বিহারে রাজভর সম্প্রদায় থেকে কোনো রাজনৈতিক দল একজনও বিধায়ক দেয়নি। আর কতদিন আমরা প্রতীকী শরিক হয়ে থাকব? তাই আমরা নিজেরাই এই লড়াই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
নির্বাচনী রণনীতি: SBSP বিহারের মোট ১৫৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। প্রথম দফায় ৫২ জন প্রার্থীকে মাঠে নামানো হবে। রাজভর জোর দিয়ে বলেন, তাঁরা শুধুমাত্র শক্তি দেখাতে লড়ছেন না, বরং যাঁরা এত দিন ক্ষমতার কাঠামোর বাইরে ছিলেন, তাঁদের প্রতিনিধিত্ব দিতে লড়ছেন।
মূল এজেন্ডা: দলের প্রধান লক্ষ্য থাকবে রাজভর, প্রজাপতি এবং রাজবংশী সম্প্রদায়ের মতো পিছিয়ে পড়া ভোটারদের একত্রিত করা, যাঁদের সংখ্যা বহু আসনে ২০,০০০ থেকে ৮০,০০০-এর মধ্যে। SBSP জমি, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানকে তাদের প্রধান নির্বাচনী অঙ্গীকার করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, “বিহার শ্রমিকের জন্ম দেয়, কিন্তু এখানকার যুবকদের জন্য সঠিক শিক্ষা ও কাজের সুযোগ নিশ্চিত হয় না।”
রাজভর স্পষ্ট জানান, “যদি তাঁরা সত্যিই আমাদের জোটে রাখতে চান, তবে এখনও সময় আছে। আমাদের ৪-৫টি আসন দিন, আমরা খুশি মনে তাদের সঙ্গে থাকব। কিন্তু যদি উপেক্ষা করা চলতে থাকে, তবে আমরা একাই এগিয়ে যাব। আমি জোট ধর্মে বিশ্বাসী, তবে সম্মান দু’দিক থেকেই আসা উচিত।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঘোষিত NDA-এর আসন ভাগাভাগির সূত্র অনুযায়ী, জেডি(ইউ) এবং বিজেপি ১০১টি করে, এলজেপি-আর ২৯টি এবং এইচএএম ও আরএলএম ৬টি করে আসনে লড়বে।