আজ, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) জনসভার দিনেই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ২ নম্বর ব্লকের মরাদিঘিতে বাবরি মসজিদের জন্য নির্ধারিত জমি দেখতে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে জমিটি চিহ্নিত করা হয়েছে।
🗓️ ৬ ডিসেম্বর কী হবে?
আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের শিলান্যাস হবে। সেই উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি এবং জমি পরিদর্শনে ব্যস্ত রয়েছেন হুমায়ুন।
আন্তর্জাতিক উপস্থিতি: হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, ৬ তারিখের অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের দু’জন লোক আসবেন।
বিশাল প্রকল্প: তিনি আবারও স্পষ্ট করেন যে এটি শুধু মসজিদের ভিত্তি স্থাপন নয়, বরং একটি বিশাল প্রকল্প:
“আমার কাছে ২৫ বিঘা জমি রেডি আছে। কোথায় করব কী করব এখন বলব না। এটা মাত্র ভিত্তি স্থাপন করছি। এখানে শুধু বাবরি মসজিদ হবে না, ইসলামিক হাসপাতাল হবে, বিশ্ববিদ্যালয় হবে। পার্ক হবে। একটা হোটেল রেস্তোরাঁ হবে।”
🏥 স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমালোচনা:
এই প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবীর মুর্শিদাবাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশার তীব্র সমালোচনা করে তাঁর হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগকে যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন,
“মুর্শিদাবাদে একটা মেডিক্যাল কলেজ আছে। সেখানে একটা বেডে তিনজন রোগী শুয়ে থাকেন। অনেক মানুষ সঠিক পরিষেবা না পেয়ে কলকাতায় চলে যান। সেখানেও ঠিক মতো ট্রিটমেন্ট না পেয়ে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ যেতে হয়। সেই কারণেই এই হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে।”
🔥 দলের অবস্থান বনাম হুমায়ুন:
বাবরি মসজিদ নিয়ে হুমায়ুনের এই উদ্যোগ দল যে ভালো চোখে দেখেনি, তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “আমি বা আমার দলের কেউ এই ধরনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি না। আমাদের দল ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। কাউকে ঠেস দিয়ে রাজনীতি করা আমাদের দলের কাজ নয়।”
যদিও তাতে হুমায়ুনের কিছু যায় আসে না। বাবরি মসজিদ যে হবেই, সে কথা বারবার বলেছেন তিনি। আজ আবার মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা রয়েছে মুর্শিদাবাদে এবং হুমায়ুনও সেখানে যাবেন। এই পরিস্থিতিতে, বাবরি মসজিদের জল কতদূর গড়ায়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।