চায়ের ধোঁয়া আর অভাবের দীর্ঘশ্বাসই ছিল রোজকার সঙ্গী। কিন্তু মাত্র ৩৫ টাকার একটি লটারির টিকিটই রাতারাতি বদলে দিল পূর্ব বর্ধমানের রায়নার জলি বিষয়ীর জীবন। পরের জায়গায় ভাঙা ঘরে বাস করা এক সামান্য চা বিক্রেতা থেকে তিনি এখন কোটিপতি।
অভাবের সংসারে উপচে পড়া আনন্দ: মাধবডিহি থানার কাইতি এলাকায় একটি ছোট চায়ের দোকান চালান জলি। স্বামী টুলু বিষয়ী কাজ করেন স্থানীয় একটি রাইস মিলে। দুই ছেলেকে নিয়ে অত্যন্ত কষ্টে চলত তাঁদের সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরানো সেই সংসারে ১৯ তারিখ কেনা ৩৫ টাকার একটি লটারি টিকিট ২০ তারিখ নিয়ে এল ১ কোটি টাকার জ্যাকপট।
কী করবেন এই টাকা দিয়ে? জলি জানান, টিকিট মেলাতে গিয়ে শুরুতে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। স্বামী টুলু বলেন, “আমি রোজ টিকিট কাটলেও স্ত্রী মাঝেমধ্যে কাটত। ওর ভাগ্যেই আজ আমরা কোটিপতি। এবার নিজেদের জমি কিনে বাড়ি করব আর ছেলেদের ভালো করে পড়াশোনা করাব।”
সারা দিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর জলি বিষয়ীর এই জয় যেন কোনো রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। লটারির এই অর্থ দিয়ে নিজেদের একটি পাকা মাথার গোঁজার ঠাঁই এবং সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়াই এখন এই পরিবারের একমাত্র লক্ষ্য।