হোয়াইট হাউসে গুলি চালানোর ঘটনার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ করা একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, দেশের সিস্টেমকে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করার সুযোগ দিতে সমস্ত “তৃতীয় বিশ্বের দেশ” থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ট্রাম্প পূর্ববর্তী জো বাইডেন প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বাইডেন প্রশাসনের ঢিলেমি নীতি দেশে “অবৈধ প্রবেশের” সুযোগ তৈরি করেছে। তাঁর মতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও এই অভিবাসন নীতি অনেকের জীবনযাত্রার মান এবং সুবিধাগুলোকে নষ্ট করেছে।
ট্রাম্পের কড়া ঘোষণা:
ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় বলেন: “আমি সমস্ত তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করছি, যাতে মার্কিন সিস্টেম পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হতে পারে। আমি ‘স্লিপি জো বাইডেনের অটোপেন স্বাক্ষর’-সহ লক্ষ লক্ষ বাইডেনের অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করব এবং যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্পদ নয় বা আমাদের দেশকে ভালোবাসতে অক্ষম, তাদের সরিয়ে দেব।”
তাঁর নির্দেশে যে কড়া পদক্ষেপগুলি নেওয়া হবে:
যারা দেশের নাগরিক নয়, তাদের জন্য সমস্ত ফেডারেল সুবিধা এবং ভর্তুকি বন্ধ করা হবে।
দেশের শান্তি নষ্টকারী অভিবাসীদের বহিষ্কার করা হবে।
যে কোনো বিদেশি নাগরিক, যিনি পাবলিক চার্জ, সুরক্ষা ঝুঁকি বা পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে বেমানান, তাকে নির্বাসিত করা হবে।
কোন দেশগুলো টার্গেট, তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প:
যদিও সাধারণত আফগানিস্তান, হাইতি, ইরান, সোমালিয়া, ভেনিজুয়েলা এবং ইয়েমেন-এর মতো দেশগুলিকে ‘তৃতীয় বিশ্বের দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, ট্রাম্প সুনির্দিষ্টভাবে এই পদক্ষেপে কোন দেশগুলোকে লক্ষ্য করা হবে, তা স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেন, “অননুমোদিত এবং বেআইনি অটোপেন অনুমোদন প্রক্রিয়ার” মাধ্যমে প্রবেশ করা ব্যক্তি সহ অবৈধ এবং বিশৃঙ্খল জনসংখ্যায় একটি বড় ধরনের হ্রাস ঘটানোর লক্ষ্যে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস)-এর ডিরেক্টর জোসেফ এডলো জানান, এই নীতি নির্দেশিকা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ বা তার পরে জমা দেওয়া বা বিচারাধীন সমস্ত গ্রিন কার্ডের অনুরোধের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।
এডলো ‘X’ হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “উদ্বেগজনক প্রতিটি দেশ থেকে আসা প্রত্যেক বিদেশীর প্রতিটি গ্রিন কার্ডের সম্পূর্ণ এবং কঠোর পুনঃপর্যালোচনার জন্য ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন। এই দেশ এবং আমেরিকার জনগণের সুরক্ষাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” হোয়াইট হাউসে গুলি চালানোর ঘটনাকে ট্রাম্প “জঙ্গি হামলা” বলে অভিহিত করেছিলেন।