গত সপ্তাহে ঢাকার মতিঝিলে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রয়াত হন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র তথা ছাত্রনেতা শরীফ ওসমান হাদি। আজ শনিবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে চলেছে। হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছানোর পর থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে তীব্র উত্তেজনা ও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে, যা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, আজ দুপুর ২টোয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রয়াত ছাত্রনেতার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। সরকার আজকের দিনটিকে ‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মব ভায়োলেন্সের ঘটনা ঘটেছে। এই উত্তপ্ত আবহের মধ্যেই ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাস নামে এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ড. ইউনূস উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সহিংসতার বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেও অস্থিরতা কমেনি। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা বা ‘ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি’ জারি করেছে। ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে এই সংঘাত বাংলাদেশের স্থিতিশীলতাকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে।