মুম্বাইবাসীর জন্য এক বিরাট স্বস্তির খবর। ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে মহারাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তর এক গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় আঞ্চলিক বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে। এখন থেকে মুম্বাইয়ের নাগরিক, ব্যবসায়ী এবং কোম্পানি মালিকরা তাদের নথিভুক্তিকরণের কাজ মুম্বাইয়ের যেকোনো স্ট্যাম্প অফিস থেকে সম্পন্ন করতে পারবেন।
আগে নাগরিকদের নিজের বাসস্থান বা ব্যবসার নির্দিষ্ট এলাকার স্ট্যাম্প অফিসেই নথিভুক্তিকরণ করতে হতো। রাজস্ব মন্ত্রী চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানিয়েছেন, এখন থেকে মুম্বাই শহর ও শহরতলির বাসিন্দারা সম্পত্তি চুক্তি, ইজারা চুক্তি, উত্তরাধিকারের দলিল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বোরিভালি, কুরলা, আন্ধেরি, মুম্বাই সিটি এবং ওল্ড কাস্টম হাউসের কাছে অবস্থিত প্রধান স্ট্যাম্প অফিস (স্ট্যাম্প ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর, এনফোর্সমেন্ট ১ এবং ২) সহ যেকোনো ৬টি স্ট্যাম্প অফিস থেকে সম্পন্ন করতে পারবেন।
‘এক জেলা এক রেজিস্ট্রেশন’ এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
রাজস্ব দপ্তরের এই পদক্ষেপটি এমন সময়ে এলো, যখন কিছুদিন আগেই তারা ‘এক জেলা এক রেজিস্ট্রেশন’ চালু করেছে। এর ফলে নাগরিকরা জেলার যেকোনো স্থানে তাদের নথিপত্র রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। রাজস্ব দপ্তর এখন খুব শীঘ্রই ‘এক রাজ্য এক রেজিস্ট্রেশন’ নীতি চালুর কথা বিবেচনা করছে, যার মাধ্যমে রাজ্যের নাগরিকরা রাজ্যের যেকোনো জায়গা থেকে তাদের নথিপত্র রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
রাজ্যের নিজস্ব রাজস্ব আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হল স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি। ২০২৪-২৫ সালে রাজ্য এই খাত থেকে ৬০,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল এবং ২০২৫-২৬-এর জন্য ৬৫,০০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মুম্বাই প্রতি বছর প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকা স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি হিসাবে অবদান রাখে।