জ্বর হলেই প্যারাসিটামল কিংবা গ্যাসের সমস্যায় প্যান-৪০ খাওয়া এখন অনেকেরই জলভাতের মতো অভ্যাস। কিন্তু আপনি যে ওষুধটিকে জীবনদায়ী ভেবে খাচ্ছেন, সেটিই কি আপনার শরীরের বারোটা বাজাচ্ছে? কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থা বা সিডিএসসিও (CDSCO)-র নভেম্বর মাসের রিপোর্ট ঠিক এই ভয়ংকর আশঙ্কাই উস্কে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা করা ওষুধের মধ্যে ২০৫টি নমুনা ‘স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি’ বা নূন্যতম মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪টি নমুনা সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবে এবং ১৪১টি স্টেট ড্রাগস টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে ফেল করেছে।
সবচেয়ে বড় উদ্বেগ: জাল ওষুধের রমরমা রিপোর্টে চণ্ডীগড়ের ল্যাবরেটরি থেকে জানানো হয়েছে, গাজিয়াবাদ থেকে সংগৃহীত দু’টি নামী ব্র্যান্ডের ওষুধ সরাসরি ‘স্পুরিয়াস’ বা জাল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে অত্যন্ত জনপ্রিয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ প্যান-৪০ (Pantoprazole) এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ টেলমা-৪০ (Telmisartan)। আসল কোম্পানির নাম ও প্যাকেট হুবহু নকল করে বাজারে এই জাল ওষুধ ছাড়া হচ্ছিল। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, এই নির্দিষ্ট ব্যাচগুলি তাদের কারখানায় তৈরি হয়নি।
শুধু এই দু’টিই নয়, প্যারাসিটামল, কাফ সিরাপ, মাল্টিভিটামিন সহ একাধিক জেনেরিক ওষুধের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গত বছরও একই ভাবে ৫৩টি ওষুধ পরীক্ষায় ফেল করেছিল। ফলে রোগ সারাতে ওষুধ খাওয়ার আগে এখন সাধারণ মানুষকে দশবার ভাবতে হচ্ছে— ওষুধটি কি আদৌ আসল তো?