পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিভিন্ন স্থানে ছট পূজার সময় হঠাৎ করেই পোস্টার দেখা যায়, যেখানে অভিনেতা থেকে রাজনীতিক হওয়া তৃণমূলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে “লাপাত্তা” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনা রাজ্যের রাজনীতিতে সরাসরি উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
এই পোস্টার প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি কাঞ্চন রায় সরাসরি এই পোস্টারকে বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “এটি বিজেপির পক্ষ থেকে করা হয়েছে। তারা জানে যে আমাদের সঙ্গে তারা রাজনৈতিকভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। তাই তারা এই ধরনের নীচপন্থী কৌশল অবলম্বন করছে।”
কাঞ্চন রায় আরও বলেন, বিজেপির এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে তারা আসানসোল এলাকা, বিশেষ করে কুলটি আসনে, রাজনৈতিকভাবে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করছে না। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “এলাকায় যখন নির্বাচন ঘনিয়ে আসে, তখনই বিজেপির বিধায়ক অজয় পোদ্দার সক্রিয় হন। সাধারণ সময়ে তাকে খুব কম দেখা যায়।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তৃণমূলের সাংসদ হিসেবে শত্রুঘ্ন সিনহার এই “লাপাত্তা” হওয়ার দাবি রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। স্থানীয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এই পোস্টারকে রাজনৈতিক প্রহসন এবং আসন্ন ভোটে প্রভাব ফেলার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
শত্রুঘ্ন সিনহা নিজেও এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, তিনি পুরো সময়ই কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁর মতে, “রাজনীতিতে কখনও কখনও এই ধরনের নকশা তৈরি হয়। এটি মানুষের মনোভাবকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।” তবে উৎসবের মরসুমে এই পোস্টার যুদ্ধ আসানসোল-সহ সমগ্র রাজ্যের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।