একদিকে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের স্বপ্ন, অন্যদিকে শিক্ষিত বেকারদের জন্য ‘স্বনির্ভর’ হওয়ার ঘরোয়া দাওয়াই। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ব্যবসায়িক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক মন্তব্যকে ঘিরে এবার তোলপাড় শুরু হল রাজ্য রাজনীতিতে।
নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর নয়া তত্ত্ব: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছোট ব্যবসা বা স্টার্টআপের ওপর জোর দিতে গিয়ে বলেন, “যখন কিছু নেই, এক হাজার টাকা নাও, দুটো চায়ের কেটলি কেনো। নয়তো বৌকে দিয়ে ঘুগনি তৈরি করো। তারপর কোনো বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়াও।” মুখ্যমন্ত্রীর মতে, কোনো কাজই ছোট নয় এবং এভাবেও স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব।
একই সময়ে শিল্পের জোয়ার? আশ্চর্যের বিষয় হল, এই মন্তব্যের ঠিক এক দিন আগেই রাজ্যে বড় মাপের শিল্প সম্মেলন হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে যা লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ‘চা-ঘুগনি’র কথা শুনে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন— তবে কি বড় শিল্পে চাকরির আশা ছেড়ে ছোট ব্যবসাই একমাত্র পথ?
চাকরিপ্রার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই রাজপথে নেমে প্রতিবাদ জানান চাকরিপ্রার্থীরা।
রাস্তায় চা-মুড়ি বিক্রি: যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা ব্যঙ্গাত্মকভাবে শহরের মোড়ে মোড়ে চা ও সিঙারা-মুড়ি বিক্রি করতে শুরু করেন।
প্রার্থীদের দাবি: “আমরা হাড়ভাঙা খাটুনি দিয়ে পড়াশোনা করেছি শিক্ষক হওয়ার জন্য, ঘুগনি বিক্রির জন্য নয়।”
বিরোধী তোপ: বিরোধীদের দাবি, সরকার বড় শিল্প আনতে ব্যর্থ হয়ে এখন যুবক-যুবতীদের বিভ্রান্ত করছে।