সাধারণ মানুষের কাছে পতঞ্জলি মানেই যোগাসন বা শরীর-স্বাস্থ্যের কথা। কিন্তু এই সংস্থা এখন সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষার গুরুত্বও অনুধাবন করেছে। পরিবেশ থাকলে প্রাণ থাকবে, পৃথিবী থাকলে মানুষ থাকবে—এই ভাবনা থেকেই রামদেবের পতঞ্জলি বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে মনোযোগ দিয়েছে।
ঠিক কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও উন্নয়নে কাজ করছে পতঞ্জলি?
১. জৈব পদ্ধতিতে চাষবাসে উৎসাহ:
পতঞ্জলি অর্গানিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (Patanjali Organic Research Institute) তৈরি করেছে জৈব বা অর্গানিক সার এবং পেস্টিসাইড। রাসায়নিকযুক্ত বিষাক্ত পেস্টিসাইড শস্য এবং কৃষক উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে এবং মাটির উর্বরতা বাড়িয়ে শস্যের গুণমান উন্নত করার লক্ষ্যে পতঞ্জলি এখন জৈব পদ্ধতিতে চাষবাসে উৎসাহ দিচ্ছে।
২. সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে বড় বিনিয়োগ:
সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পেও বড় অঙ্কের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে পতঞ্জলি। ইতিমধ্যে এই সংস্থা সৌর বিদ্যুৎ তৈরিতে সক্ষম প্যানেল, ইনভার্টার এবং ব্যাটারি তৈরি করেছে, যা বাজারে থাকা অন্যান্য সংস্থার সৌর বিদ্যুৎ-সম্পর্কিত পণ্যের তুলনায় যথেষ্ট সস্তা। পতঞ্জলির মূল লক্ষ্য হলো দেশের প্রতিটি গ্রাম ও শহরে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা।
৩. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিনব উদ্যোগ:
বর্তমানে দেশে আবর্জনার স্তূপ একটি বড় সমস্যা। এর যথাযথ সমাধানে প্রয়োজন কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্যোগ চালু করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাচীন জ্ঞান এবং আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করা হবে।
সব মিলিয়ে, পতঞ্জলি শুধু যোগ বা আয়ুর্বেদের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ না রেখে পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে এক ‘সবুজ মন্ত্র’-কে সমাজের মূল স্রোতে আনার চেষ্টা করছে।