যুবভারতী কাণ্ডে আরও ৩ জন শ্রীঘরে! মেসির সফরের পর এবার কি ইডি-র নজরে শতদ্রু দত্তর ‘কালো টাকা’?

লিওনেল মেসির কলকাতা সফর শেষে যুবভারতী স্টেডিয়ামের ধ্বংসলীলা নিয়ে তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। শনিবারের সেই তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়ল আরও ৩ জন। এই নিয়ে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯-এ। অন্যদিকে, অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তর রিষড়ার বিলাসবহুল বাড়িতেও ম্যারাথন তল্লাশি চালাল পুলিশ।

নতুন করে ৩ গ্রেফতার: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং স্টেডিয়ামের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বিধাননগর পুলিশ আরও তিন ‘তাণ্ডবকারী’কে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা হলো:

রাজু দাস ওরফে গোপাল দাস

সৌম্যদীপ দাস ওরফে পাপ্পু

তন্ময় দে ওরফে দুষ্টু লেকটাউন ও নাগেরবাজার এলাকা থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। পুলিশের দাবি, এরা সরাসরি চেয়ার ভাঙা ও গোলপোস্ট ছেঁড়ার মতো ঘটনায় জড়িত ছিল।

আয়োজক শতদ্রুর বাড়িতে তল্লাশি: শুক্রবার বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ রিষড়ায় শতদ্রু দত্তর বাড়িতে হানা দেয়। ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং সুইমিং পুল সমৃদ্ধ ওই তিনতলা বিলাসবহুল বাড়িতে তল্লাশির সময় শতদ্রু বা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না। পুলিশ কেবল বাড়ির পরিচারিকার দেখা পেয়েছে।

কালো টাকার যোগ? তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এই ইভেন্ট আয়োজনে বিপুল পরিমাণ ‘কালো টাকা’ ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। সেই সূত্র ধরে আর্থিক লেনদেনের নথি খুঁজছে পুলিশ।

ইডির হানা কি নিশ্চিত? সূত্রের খবর, এই বিশাল অঙ্কের আর্থিক অস্বচ্ছতার তদন্তে খুব শীঘ্রই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) আসরে নামতে পারে।

তদন্তে বিশেষ সিট (SIT): যুবভারতীর এই তাণ্ডব কি কেবল দর্শকদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ছিল নাকি এর পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্র ছিল, তা খতিয়ে দেখতে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা SIT গঠন করা হয়েছে। সিসিটিভি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অনেক দর্শক স্মৃতি হিসেবে স্টেডিয়ামের চেয়ার ও ব্যারিকেড বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, যারা সরকারি সম্পত্তি লুট করেছেন, কাউকেই রেয়াত করা হবে না।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy