যাত্রী সংখ্যার নিরিখে দেশের বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগো (IndiGo) বর্তমানে এক ভয়াবহ অপারেশনাল বিপর্যয়ের মুখে। একের পর এক বিমান বাতিল হওয়ার জেরে দেশজুড়ে বিমান চলাচল ব্যাহত, যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন কয়েক হাজার যাত্রী। এই জটিল পরিস্থিতিতে এবার একবারের জন্য বেসরকারি এই বিমান সংস্থাকে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক বা ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (DGCA)।
পিটিআই (PTI) সূত্রে খবর, DGCA-এর তরফে পাইলট ও ক্রুদের রস্টারের কয়েকটি নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং বেশ কিছু বিধিনিষেধও শিথিল করা হয়েছে।
কাজের রস্টার নিয়ে DGCA-এর বড় আপডেট: কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন DGCA ২০২৪ সালে ইন্ডিগোর কর্মী ও পাইলটদের জন্য কাজের সময়ের মেয়াদ বেঁধে দিয়েছিল, যার নাম ছিল ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস’ (FDTL) বিধি। নতুন বিধিতে কোনো পাইলট বা বিমানকর্মীকে নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ‘অন ডিউটি’ রাখা যাবে না। নভেম্বর মাসে এই শ্রমবিধি কার্যকর করার পরেই কর্মী অপ্রতুলতার কারণে বিপর্যস্ত হয় ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। সঙ্কট সামাল দিতেই DGCA পুরোনো নিয়মের কিছু অংশ সাময়িকভাবে ফিরিয়ে এনেছে।
একের পর এক বাতিল ইন্ডিগো-র বিমান: শুক্রবার দেশজুড়ে ৬০০-রও ওপরে ইন্ডিগো-র বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়। এর জেরে কয়েক লক্ষ যাত্রী গন্তব্যে যেতে সমস্যায় পড়েন। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাত ১২টা পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগোর কোনো বিমান উড়বে না। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দর থেকেও ইন্ডিগোর কোনো বিমান ছাড়বে না বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারও মোট ৫৫০টি বিমান বাতিল করেছিল ইন্ডিগো।
ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে: ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ এই অব্যবস্থার জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেও, বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় যাত্রীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বহু যাত্রী অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে, বিমান বাতিল করার পর যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা ও থাকার জন্য কোনো রকম বিকল্প ব্যবস্থা করেনি ইন্ডিগো। উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় এবং বিমানবন্দরে রাত কাটাতে বাধ্য হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে।