যদি খসড়া ভোটার তালিকায় (Draft Voter List) নামের বানান ভুল আসে, তবে তা ঠিক করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা দেয় নির্বাচন কমিশন।

ভোটার তালিকায় যেকোনো ধরণের সংশোধনের (নামের বানান, বয়স, ঠিকানা বা ছবি) জন্য ৮ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হয়। এটি আপনি অফলাইন এবং অনলাইন দুই মাধ্যমেই করতে পারেন।

২. প্রয়োজনীয় নথিপত্র (Documents): যেহেতু বিশ্বরূপবাবুর পরিবারের আধার কার্ড ও পুরনো ভোটার কার্ডে বানান ঠিক আছে, তাই আবেদনের সঙ্গে এই নথিগুলোর ফটোকপি জমা দিতে হবে।

  • সঠিক বানানের আধার কার্ড।

  • পুরনো সঠিক ভোটার কার্ডের কপি।

  • পাসপোর্ট বা প্যান কার্ড (যদি থাকে)।

৩. অনলাইন আবেদন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়): বিডিও অফিস বা বিএলও (BLO) যদি দায়িত্ব এড়িয়ে যান, তবে সরাসরি অনলাইনে আবেদন করাই শ্রেষ্ঠ পথ:

  • Voters’ Service Portal (VSP): voters.eci.gov.in পোর্টালে গিয়ে লগ-ইন করুন।

  • Voter Helpline App: স্মার্টফোনে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করেও ৮ নম্বর ফর্ম পূরণ করা যায়। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে একটি ‘Reference Number’ পাওয়া যায়, যা দিয়ে পরবর্তীতে স্ট্যাটাস চেক করা সম্ভব।

৪. মহকুমা শাসক (SDO) বা জেলাশাসকের (DM) দ্বারস্থ হওয়া: যদি স্থানীয় স্তরে (BLO বা বিডিও অফিস) কোনো সুরাহা না মেলে, তবে সরাসরি বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক (SDO) বা বাঁকুড়ার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের (District Election Officer/DM) দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া যেতে পারে।

কেন এমন ভুল হচ্ছে?

সম্প্রতি SIR (Special Intervention Report) বা তথ্য যাচাইয়ের সময় যান্ত্রিক ত্রুটি বা তথ্য এন্ট্রিতে গাফিলতির কারণে অনেকেরই সঠিক বানান বদলে ভুল হয়ে যাচ্ছে। তবে মনে রাখবেন, খসড়া তালিকা (Draft List) মানেই চূড়ান্ত তালিকা নয়। এটি সংশোধন করার জন্যই প্রকাশ করা হয়।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দাবি ও আপত্তি (Claims and Objections) জানানোর জন্য সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে আবেদন না করলে চূড়ান্ত তালিকায় (Final Roll) ভুল বানানটিই থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy