মোদী হলেন ভারতের ভাগ্য নির্মাতা!’ উদুপিতে PM-কে বিশেষ সম্মান, এক লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের স্মৃতিচারণ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্ণাটকের উদুপিতে অবস্থিত ঐতিহাসিক শ্রীকৃষ্ণ মঠ পরিদর্শন করেন এবং সুবর্ণ তীর্থ মণ্ডপের উদ্বোধন করেন। এই সফরের মূল আকর্ষণ ছিল তাঁর হাতে পবিত্র ‘কণক কবচ’ (সোনার আবরণ) উৎসর্গ, যা তিনি মঠের কণক কিন্দিকে প্রদান করেন। এটি সেই পবিত্র জানালা বলে মনে করা হয়, যার মধ্য দিয়ে সন্ত কনকদাস একদা ভগবান কৃষ্ণের দিব্য দর্শন পেয়েছিলেন।

উদুপির এই শ্রীকৃষ্ণ মঠটি প্রায় ৮০০ বছর আগে দ্বৈত বেদান্ত দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী মাধ্বাচার্য দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জগদ্গুরু শ্রী শ্রী সুগুনেন্দ্র তীর্থ স্বামীজী বিশ্ব গীতা পর্যায় লক্ষ্য কণ্ঠ গীতা পরায়ণে সম্মানিত করেন। স্বামীজী সংস্কৃত ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভারতের ভাগ্য নির্মাতা’ হিসেবে আখ্যা দেন।

শ্রীকৃষ্ণের মন্ত্র আমাদের নীতির ভিত্তি

প্রধানমন্ত্রী মোদী এই সময় গুরুদের উপস্থিতিকে সৌভাগ্য বলে অভিহিত করেন। তিনি স্মরণ করেন, মাত্র তিন দিন আগেই কুরুক্ষেত্রে এক লক্ষ মানুষের একসাথে গীতার শ্লোক পাঠের দৃশ্যটি যেন ভারতের হাজার বছরের দেবত্বকে প্রত্যক্ষ করার মতো ছিল। তিনি বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণীগুলিই আজ তাঁর সরকারের নীতির পিছনে মূল অনুপ্রেরণা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রীকৃষ্ণের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়’ নীতি থেকেই আয়ুষ্মান ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির ভিত্তি তৈরি হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নারীর সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়নের গুরুত্ব আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকেই পাই, যা অনুপ্রাণিত করে দেশ ‘নারী শক্তি বন্দন আইন’ প্রণয়নের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যাচারীদের পতন অপরিহার্য’

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, শ্রীকৃষ্ণ আমাদের সকলের কল্যাণের শিক্ষা দেন, যা ভারতের ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’, ‘সৌর জোট’ এবং ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ নীতির ভিত্তি। যুদ্ধক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণের দেওয়া গীতার বার্তা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, “ভগবদগীতা আমাদের শিক্ষা দেয় যে শান্তি ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যাচারীর শেষ প্রয়োজন।”

প্রধানমন্ত্রী তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা নীতির সারমর্ম ব্যাখ্যা করে বলেন, ভারত যেখানে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ (বিশ্ব এক পরিবার) ঘোষণা করে, সেখানেই ‘ধর্মো রক্ষতি রক্ষিতাঃ’ মন্ত্রটিও উচ্চারণ করে। তিনি উল্লেখ করেন, লাল কেল্লা থেকে যেমন তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের করুণার বার্তা পৌঁছে দেন, ঠিক তেমনই একই দুর্গ থেকে ‘মিশন সুদর্শন চক্র’-এর মতো কড়া বার্তা তিনি ঘোষণা করেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy