বছরজুড়ে বাবরি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা থেকে শুরু করে একের পর এক বিতর্কে শিরোনামে থাকা ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবার নিজের রাজনৈতিক পথ আলাদা করলেন। সোমবার বড়সড় চমক দিয়ে তিনি আত্মপ্রকাশ ঘটালেন তাঁর নতুন দল— ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’। মঞ্চে উড়ল নতুন পতাকাতু, সেই সঙ্গে তৃণমূলের একঝাঁক বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রীকে পাশে নিয়ে প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করলেন তিনি।
হুমায়ুন কবীর জানিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নিজে ভরতপুর ও রেজিনগর—এই দুই কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন। তাঁর তালিকায় রয়েছেন বালিগঞ্জের নিশা চট্টোপাধ্যায়, ভগবানগোলায় লড়বেন আর এক হুমায়ুন কবীর (ব্যবসায়ী), এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে তৃণমূল ত্যাগী মনীষা পাণ্ডে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ ছাপিয়ে বালিগঞ্জ ও ইছাপুরের মতো কেন্দ্রেও প্রার্থী দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, লড়াই শুধু উত্তরবঙ্গে সীমাবদ্ধ থাকবে না। প্রার্থীদের মধ্যে ২১ জুলাইয়ের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী সিরাজুল মণ্ডল থেকে শুরু করে একাধিক প্রাক্তন তৃণমূলী মুখ নজর কেড়েছে।
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নিয়ে সরব হয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি একে ‘ভোটের রাজনীতির ষড়যন্ত্র’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর পাল্টা জবাবে হুমায়ুন কবীর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তলে তলে আরএসএস-কে রাজ্যে প্রভাব বিস্তারে সাহায্য করছেন। সব মিলিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে হুমায়ুনের এই ‘চমক’ রাজ্যের সমীকরণ বদলে দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।