মুর্শিদাবাদে দলীয় নেত্রীর সভায় যোগ দিতে এসে সেখানেই নিজের সাসপেনশনের খবর প্রথম জানতে পারলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই সাংবাদিকরা তাঁকে জানান, কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে দলের পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম এবং নিয়ামত শেখ তাঁর সাসপেনশনের নির্দেশ ঘোষণা করেছেন।
সাসপেনশনের খবর শুনে দৃশ্যত বিরক্ত হুমায়ুন কবীর সোজাসাপটা জবাব দিলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, সাসপেন্ড হওয়ার পরও কি তিনি নেত্রীর সভায় থাকবেন? হুমায়ুন বলেন, “কালই রিজাইন দেব, দলের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখব না!” তিনি আরও জানান, “আমাকে জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওনার সঙ্গে কথা বলব। যদি থাকতে বলেন থাকব, নাহলে বেরিয়ে যাব।”
ফিরহাদ হাকিমকে সরাসরি জবাব নয়
উল্লেখ্য, হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ ইস্যু নিয়ে ফিরহাদ হাকিম আগের দিনই স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে দল এই ধরনের সাম্প্রদায়িক মন্তব্যকে সমর্থন করে না। বৃহস্পতিবার যখন হুমায়ুন নেত্রীর কর্মসূচিতে উপস্থিত, তখনই ফিরহাদ তাঁর সাসপেনশনের ঘোষণা করেন। এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে, হুমায়ুন কবীর বলেন, “ববিদার (ফিরহাদ হাকিম) কোনো কথার আমি জবাব দেব না।”
বিস্ফোরক ঘোষণা: নতুন দল ২২ ডিসেম্বর
এই প্রসঙ্গে তিনি ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারা বিনা নোটিশে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড হওয়ার পুরনো ঘটনাটিও স্মরণ করিয়ে দেন। আর তারপরই তিনি দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিস্ফোরক ঘোষণা করেন।
হুমায়ুন কবীর স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি দল থেকে নিজেই ইস্তফা দেবেন, এবং সেটা হবে আগামীকাল, শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর)। তিনি বলেন, “কালকেই রিজাইন দিয়ে দেব। আর ২২ তারিখ মুর্শিদাবাদের নিজের দল ওপেনিং করব। মাটি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। ১৩৫ সিটে লড়ব।” অর্থাৎ সাসপেনশনকে তোয়াক্কা না করে তিনি মুর্শিদাবাদের মাটিতে এক নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার চূড়ান্ত ঘোষণা করে দিলেন।