মালদহ পুলিশের জালে ধরা পড়ল আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের মূল পাণ্ডা মহম্মদ হাসমত। পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে একাধিক মাদক পাচার কাণ্ডে সে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মালদহ পুলিশ কলকাতা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে।
হাসমতের পরিচয় ও নেটওয়ার্ক:
পরিচয়: হাসমত মালদহের কালিয়াচকের শাহবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনটোলার বাসিন্দা।
নেটওয়ার্ক: সে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মনিপুর-সহ একাধিক রাজ্যে মাদক কারবারের এক বড়সড় চক্র তৈরি করেছিল।
বিগত গ্রেফতারি: এর আগে হাসমতের দলের অন্তত একশো মাদক কারবারিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও একাধিক রাজ্যে তার মাদক চক্র সক্রিয় বলে খবর রয়েছে পুলিশের কাছে।
মামলা: তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে।
সহযোগী ও পাচারের ভূমিকা:
হাসমতের সঙ্গেই তার আরও দুই সাগরেদ সাব্বির শেখ এবং রবিউল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাব্বির মালদহের কালিয়াচকের শাহবাজপুরের বাসিন্দা। রবিউলের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাজমহলে।
পুলিশ দাবি করেছে, হাসমত এ রাজ্যে ব্রাউন সুগার তৈরি এবং ডিস্ট্রিবিউশনের অন্যতম মাথা ছিল।
তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ:
ঘাঁটি বদল: প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, মালদহে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের কারণে হাসমত তার মাদক তৈরির ঘাঁটি সম্প্রতি মালদহের কালিয়াচক থেকে সরিয়ে ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ নিয়ে গিয়েছিল।
এনসিবি-র তদন্ত: হাসমতের খোঁজে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোও (NCB) তদন্ত করছিল।
আদালতে পেশ: হাসমত ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করে মালদহে আনা হয়েছে। ধৃতদের মঙ্গলবার মালদহ আদালতে তোলা হয়। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হবে।